নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি (এনরোলমেন্ট) পরীক্ষায় নিবন্ধন ও ফরম পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী। শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ থাকা মামলায় আপিল বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানেরও আর্জি জানিয়েছেন তারা।
আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) আইন, আদালত ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. আসাদুজ্জামান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাণিজ্য, গাফিলতি ও খামখেয়ালিপনায় তাদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ আইন বিষয়ে স্নাতক পাশের পর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রত্যেক আইন শিক্ষার্থীই আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
বক্তব্যে বলা হয়, উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আমরা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের স্নাতকে ভর্তি হই। তাই ইউজিসি, বার কাউন্সিল বা হাইকোর্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সেমিস্টার প্রতি ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর বিষয়ে যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা আমাদের জানার কথা না। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করালে তার দায় ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়কেই নিতে হবে।
নিয়ম অনুসারে আইন পাশের পর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষা দিতে হলে সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ছয়মাস শিক্ষানবিশ থাকতে হয়। আমরা বার কাউন্সিলের অনুমতি সাপেক্ষে ওই ছয়মাস সময় পার করেছি। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি বাণিজ্যের কারণে বার কাউন্সিল ২২ নভেম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেয়া থেকে বঞ্চিত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থীদের আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মো. মাছুদুর রায়হান প্রিন্স, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মো. মনিরুল ইসলাম (মিঠু), বাংলাদেশ ইসলামি ইউনিভার্সিটির এস আর শাহীন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মো. সাব্বির হোসাইন, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির খন্দকার আবরার আহমেদ প্রমুখ।
Discussion about this post