ঠিক কত বছর বয়স পর্যন্ত কেউ আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন তা নিয়ে নানা গুঞ্জন আর আলাপ-আলোচনায় মুখর আদালত অঙ্গন। বার কাউন্সিলের আইনজীবী সনদ দেয়ার পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আলোচনার পালে হাওয়া লেগেছে আরও বেশি।
মামলার শুনানি সর্বোচ্চ আদালত ৪০ বছরের কথা বলেছেন। অন্যদিকে আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও দেশের আইন পেশার সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ৩৫ বছরের কথা বলেছিলেন। কিন্তু রায়ে বয়স নির্ধারণের ভার আদালত বার কাউন্সিলের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় দুই বছর মেয়াদী এলএলবি (পাস কোর্স) ডিগ্রীধারীদের বার কাউন্সিল সনদ নিয়ে জটিলতা বিষয়ক এক রিট আবেদনের দেওয়া রায়ে গত বছরের ২৫ জুলাই এলএলবি কোর্স সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ঐ রায়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধেরও নির্দেশ দেন আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যলয়। শুনানি শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দারুল ইহসানের আপিল খারিজ করে এ মামলায় অন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষভুক্ত হয়ে আবেদন করেছিল সেসব আবেদনেরও নিষ্পত্তি করেন সর্বোচ্চ আদালত।
আপিল নিষ্পত্তির দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, ‘আমি বয়সসীমা ৩৫ করার কথা বলেছিলাম কিন্তু আদালত বিদেশ থেকে ডিগ্রী নিয়ে আসার বিষয় বিবেচনা করে ৪০ বছরের কথা বলেছেন’।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ১১১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ভবিষ্যতে আইনজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে বার কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্টদের করণীয় নিয়ে ১২ দফা অভিমত দেন আপিল বিভাগ।
রায়ে নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমার কথা উল্লেখ না করে জেলা জজ আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে (রেজিস্ট্রেশন) নিবন্ধিত হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণের ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল একটি রুলস করতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন তার কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আদালতে শুনানিকালে এ বয়সসীমা ঠিক করে দেয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু বার কাউন্সিলের আইন করার ক্ষমতা নেই। আইন করার ক্ষমতা কেবল সরকারের। এখন বিষয়টি বার কাউন্সিলের পর্ষদ ভেবে দেখবেন’।
অন্যদিকে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘আইন পেশায় অন্তর্ভুক্তির বয়সসীমা নির্ধারণের বিষয়টি বার কাউন্সিলের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
Discussion about this post