প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের পিতা এম. আব্দুর রহিমের স্মরণ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা আইনজীবীরা যদি আমাদের প্রতি হাত শক্ত না করেন (আমাদের যদি সহযোগিতা না করেন), তাহলে আমরা কোনো মতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না। আমরা অনেক চেষ্টা করছি, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি’।
‘আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইনজীবীদের অবদানও কম নয়। আইনজীবীদের বাদ দিয়ে আইনের শাসন চিন্তাই করতে পারি না’।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জমির উদ্দিন সরকার ও আবদুল বাসেত মজুমদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশটার যখন ভঙ্গুর অবস্থা ছিলো। সেটার পূর্ণতায় আত্মনিয়োগ যারা করেছেন, তাদের মধ্যে এম. আব্দুর রহিম অন্যতম। তিনি শুধু মুক্তিযুদ্ধেই আত্মনিয়োগ করেননি, দেশের উন্নয়নেও কাজ করেছেন। এবং সংবিধান প্রণয়নের রুপকারদের মধ্যে তাকে প্রথম সারিতে রাখবো’।
অনুষ্ঠানে বাবার জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। তিনি বলেন, ‘বাবার ৫ বছর বয়সে দাদা মারা যান। সবাই বাবাকে কৃষি ও ব্যবসার কথা বলতেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে শিক্ষা, সমাজসেবা ও রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন। বাবার সম্পত্তি ছিলো ১২২ বিঘার মতো। আর এখন সেটা হবে ৪০/৪২ বিঘার মতো। অথচ তিনি বারের ভালো আইনজীবীও ছিলেন। তিনি সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করেছেন। আজকের রাজনীতিতে সম্পত্তি যোগ হয়। কিন্তু আমার বাবার সম্পত্তি কমেছে’।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ মো. খসরুজ্জামান। সবশেষে উপস্থিত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন।
Discussion about this post