আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড কেন দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেছেন, দেশে একেকজন আসামির বিরুদ্ধে ২০-২৫টি করে অভিযোগ (চার্জ) থাকে। আইন অনুযায়ী এর বিচার হচ্ছে।
সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে বলা হয়, যে আপনারা সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছেন। তাদের একথার জবাবে আমি বলেছি যে, আমাদের দেশে একেকজন আসামির বিরুদ্ধে ২০-২৫টি করে অভিযোগ (চার্জ) থাকে। আইন অনুযায়ী এর বিচার করা হচ্ছে।
এরপর এই দুই আপিলের শুনানির জন্য আগামী ১০ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। এর আগে আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে উভয়পক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বিচারতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।
শুনানিতে আদালত আরও বলেন, আপনারা উভয়পক্ষ ২৪ আগস্টের মধ্যে সারসংক্ষেপ জামা দেবেন, ওই দিন কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়াই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হলো। আপনারা লিখিত বক্তব্য দাখিল করবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ ও ২৮ জানুয়ারি সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও এটিএম আজহারুল ইসলাম আপিল করেন। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে ওই দুই রাজনীতিককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
Discussion about this post