অতনু সাগর:
আজ আমাদের এই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পুর্ণ হয়ে আছে ধান্দাবাজীতে ও দুর্নিতিবাজীতে। ধান্দাবাজ ও দুর্নিতিবাজরা এসব ছলচাতুরি করার সুযোগ পায় শুধুমাত্র একটি জিনিস না জানার কারনে। তা হল “আইন” আমাদের দেশে যথেষ্ঠ আইন রয়েছে। তার প্রয়োগের ব্যাবস্থাও আছে। কিন্ত উপযুক্ত প্রয়োগের পদ্ধতি না জানার কারনে অনেক মানুষ এসবে ভয় পায়। তারা আইনের আশ্রয়কে বড়ই ভয়ংকর কিছু একটা মনে করে। তারা ভাবে, আইনের আশ্রয় একটা কঠিন প্যাঁচের মত। এই প্যাচে কেউ পরলে আর বেরোনোর কোন উপায় নেই।
আসলে, আইন যে মানুষকে প্যাচে নয় বরং বাঁচাতেই তৈরী করা হয়েছে তা মানুষ ভুলে যায়। ঠিক তখনই এসব ধান্দাবাজেরা সুযোগ নেয়।
আইনের অজ্ঞতা মানুষকে কি পরিমান বিপদে ফেলতে পারে তা আমরা চারপাশে তাকালেই বুঝতে পারি। আইনের অজ্ঞতাই আজও রিমি, তুর্না, নিপা, সোনিয়াদের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে ফেরাতে পারছেনা। যারা সমাজের কীটদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নিজেদের জীবন নিজেরাই শেষ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল। যাদের বাবা মা আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি, শুধুমাত্র আইনকে ভয়ংকর কিছু একটা মনে করবার জন্য। আইনকে ভালোভাবে না জানার জন্য।
আইনের এই অজ্ঞতাই আজ আমাদের সমাজের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আজও ধর্ষনে সেঞ্চুরী করলেও কোন বিচার হয়না।
পরিমল, পান্নাদের মত কোমলমতি ছাত্রিদের লালসার পাত্রী বানালেও কোন বিচার হয়না।
শুধুমাত্র চাঁদা না দেবার কারনে আপন বসত বাড়ী সন্ত্রাসীরা আগুনে পুড়ে দিলেও কোন বিচার চাওয়ার সাহস পায়না।
আজও যৌতুকের কালো থাবা আমাদের হাজারো বোনদের সুখের স্বপ্ন এক নিমিষেই নিঃশেষ করে দিচ্ছে। অথচ আমরা চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারছিনা।
এমন আরো শত শত উদাহরন দেওয়া যাবে যেখানে আমাদের সামাজিকতা, মানবিকতা গুমরে গুমরে কাদছে।
এসবের থেকে পরিত্রানের উপায় কি??
একটাই উপায়। তা হলঃ আইন কে জানা। আইনের প্রয়োগ করতে শেখা।
আর সেই লক্ষ্যেই দেশের প্রথম আইন বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা আমাদের মাঝে এসেছে সর্বস্তরের মানুষকে আইন বিষয়ে সচেতন করে তুলতে। আমরাই পারি এই উদ্যোগকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
তাই আসুন, আমরা নিয়মিত এই পত্রিকা নিজে পড়ার ও অন্যকে পড়ার ব্যাপারে আগ্রহী করার মাধ্যমে দেশ থেকে আইনের অজ্ঞতাকে দূর করতে সাহায্য করি।
পত্রিকার লিংকঃ https://www.bdlawnews.com/
ফেসবুকের লিংকঃ https://www.facebook.com/bdlawnews?hc_location=timeline
Discussion about this post