আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে আজ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) শুনানি শুরু করার পর রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে আগামী ১৭ আগস্ট শুনানির জন্য ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
পরে আইনজীবীরা জানান, আইন সচিবের বিষয়ে জারি করা রুল বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য ছিল। আজ কোর্টে শুনানি শুরু হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আাগমী ১৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
গত ৮ আগস্ট জারি করা রুলে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে, গত ৬ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে অবসর উত্তর ছুটি বাতিল করে তাকে ওই পদে নিয়োগ দেয় সরকার। নিয়োগের পরদিন সোমবার তিনি ওই পদে যোগদান করেন।
চুক্তিভিত্তিক এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান।
শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে আইন সচিবের চাকরির শেষ দিন হচ্ছে ৭ আগস্ট। ওনাকে ছয় তারিখে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।কিন্তু ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ লাগে। কিন্তু সেটা নেয়া হয়নি।
এছাড়া সচিব পদে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বাইরে, কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। আইন সচিব এখন জুডিশিয়াল সার্ভিসে নেই। এমনকি আপিল বিভাগের এক রায়ে বলা হয়েছে, এ পদে চুক্তিভিক্তি নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসের লোক। তার অবসরোত্তর ছুটি বাতিল করে কেবল ওই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আপিল বিভাগের চুক্তিভিত্তিক রায়ের বিষয়টি হলো, অন্য সার্ভিস থেকে কাউকে এনে নিয়োগ দেয়া। এখানে সেটার ব্যত্যয় হয়নি। সুতরাং এখানে কোনো প্রকার বেআইনি কিছু হয়নি।
Discussion about this post