বিডি ল নিউজঃ সুনীল নারিনকে নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কলকাতা নাইট রাইডার্সের!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম সংস্করণের ডঙ্কা বাজতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এর মধ্যেই টুর্নামেন্টে সুনীল নারিনের খেলা নিয়ে বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করে দিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারণ করেছে যে, ভারতীয় বোর্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনাচিন্তা সহ আসন্ন আইপিএল থেকে দল প্রত্যাহার করে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে কেকেআর ফ্রাঞ্চাইজি।
সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০ চলাকালীন কেকেআর বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা নারিনকে নিষিদ্ধ করা হয়। যে কারণে ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অফ-স্পিনার। যার জেরে ভারতে সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এবং পরবর্তীকালে বিশ্বকাপের দলেও তাঁর জায়গা হয়নি।
এর মধ্যে অবশ্য লাফবরোতে গিয়ে নিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরে নিয়েছেন ‘বিস্ময় বোলার’ নারিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রও পেয়েছেন। তবে, এসব মানতে নারাজ ভারতীয় বোর্ড। বিসিসিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু নারিন এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে ছিলেন না, তাই তাঁকে এখানে বোর্ড নির্ধারিত চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় পরীক্ষায় বসতে হবে।
বোর্ডের এই ফরমান মানতে নারাজ কেকেআর ফ্রাঞ্চাইজি। দল সূত্রে খবর, তারা বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন। এমনকী, বোর্ড নিজের অবস্থান না বদলালে আসন্ন মরশুমে আইপিএলকে বয়কট করা হতে পারে বলেও সতর্কবানী জারি করা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে।
এই জটিল পরিস্থিতি নিয়ে বোর্ড সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে কেকেআর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের প্রশ্ন, আইসিসি যেখানে নারিনকে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছে, সেখানে বোর্ডের নতুন করে তাঁকে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? ডালমিয়া-ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে কেকেআর-এর চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করা হলেও, বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তাঁরা। মুখ খুলতে রাজি হননি কেকেআর-এর সিইও ভেঙ্কি মাইসোরও।
এদিকে, নারিন-পর্বের মধ্যেই ক্রিস লিন ও জিমি নিশামের পরিবর্ত হিসেবে জোহান বোথা ও আজহার মেহমুদকে দলে নিয়েছে কেকেআর।
Discussion about this post