আইফোন ৬এস প্লাস নিয়ে পুঙ্খানুপঙ্খ বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, হ্যান্ডসেটটি তৈরিতে যে খরচ পড়ছে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি লাভ নিচ্ছে অ্যাপল।
আইএইচএস টেকনোলজি তাদের দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছে, আইফোন ৬এস প্লাস’র একটি হ্যান্ডসেট তৈরিতে অ্যাপলের খরচ পড়েছে দু’শ’ ৩৬ ডলার। সেখানে এটি বিক্রিতে নেওয়া হচ্ছে সাতশ’ ৪৯ ডলার। (১ ডলার সমান ৭৮ টাকা)
আইএইচএস টেকনোলজির সিনিয়র রিসার্চ ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু রাসউইলারের প্রশ্ন শিপিং, ওয়াজহাউজিং, মার্কেটিং, রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের খরচ যোগ করলেও কী এর মূল্য এতো হতে পারে?
আইএইচএস টেকনোলজি বলছে, নতুন থ্রিডি ডিসপ্লের জন্য খরচ পড়ে ৫২.৫০ ডলার, এম৯ কোপ্রসেসরের সঙ্গে এ৯ এসওসি চিপের খরচ ২২ ডলার, মেমোরির খরচ ১৭ ডলার, ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজের খরচ ৫.৫০ ডলার, ক্যামেরা সেন্সরের খরচ ২২.৫০ ডলার। আর অন্য মেকানিক্যাল ও ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল উপাদানগুলোর পেছনে খরচ সবমিলে ৪২ ডলার।
যেহেতু আইফোন ৬এস প্লাসের থ্রিডি ডিসপ্লে একেবারেই ব্যতিক্রম, আর অ্যাপলের ট্যাপটিক ইঞ্জিন এর সঙ্গে একত্রিত হয়ে খরচ আরও ১০ ডলার যুক্ত হতে পারে। এছাড়া, উৎপাদন ও অ্যাসেম্বিলিংয়ের জন্য আরও ১৬ ডলার ব্যয় হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, উপর্যুক্ত হিসাবে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৬ এজ’র খরচ দু’শ’ ৯০ ডলার। সেখানে হ্যান্ডসেটটির ওপেনিং মূল্য ধরা হয়েছে সাতশ’ ডলার।
এখন আইএইচএস টেকনোলজির এ বিস্ফোরক তথ্যের প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা-ই দেখার অপেক্ষায় প্রযুক্তিবিশ্ব।
Discussion about this post