একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ পাহাড়ি অ লে গড়ে উঠা এই এলাকার সিংহ ভাগ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হতে এসে হাটহাজারী উপজেলার ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে বসবাস করছে। উক্ত ওয়ার্ড উপজেলার আওতাভুক্ত হলেও তবে নির্বাচনে এই এলাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। এখানখার মানুষ সাধারণত বেশির ভাগ ছিন্নমূল বস্তি এলাকা হতে উঠে এসে এই এলাকায় বৈধ-অবৈধ ভাবে পাহাড় দখল করে পাহাড় কেটে বসবাস করছে। বসবাস করার পাশা-পাশি তারা এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তির সহযোগিতায় এই ওয়ার্ডে ভোটারও হয়েছে। এখান কার বহু মানুষ সরকারি-বেসরকারী ভাবে বসবাস করছে। আবার কেউ কেউ বাড়ি-ঘর তৈরি করে এখান কার স্থানীয় নাগরিক্তও নিয়েছে। আবার অনেকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে আতাত রেখে পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছে বিলাশবহুল আবাসিক এলাকা। এক অভিন্ন ধারার এলাকা এই ভোটার দের বৈচিত্র ভিন্ন। এই সব ভোটাররা তেমন রাজনিতীর সাথে সম্পৃত্ত নয়। জার ফলে প্রতিবার সিটি নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থীরাই জয়ী হয়। কারণ পুরাতন প্রার্থীরা ভোটারদের চাহিদা মতো তেমন টু’প্রাইজ দেয় না। জার ফলে এই এলাকার মানুষ নতুন প্রার্থীর দিকে ঝুকে পড়ে।
জানা যায়, প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করলেও তবে বিশেষ করে ১নং ওয়ার্ডের সন্দিপ কলোনী, হাতিয়া কলোনী মানুষ গুলো সুযোগ বুঝে ভোটাররা ঝুকে পড়ে কখনো আওয়ামিলীগ কখনো বিএনপি কখনো জাতীয় পাটিসহ সতন্ত্র প্রর্থীর দিকে। জঙ্গল দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকাতে শাহ-আমানত কলোনি, কেচ্চ ঘোনা, বড়ই তলী, ঠান্ড ছড়ি, ভেড়া কলোনি, বরিশাল কলোনিসহ এ কলোনি গুলোতে দেশের বিভিন্ন নদী ভাঙ্গান কবলিত এলাকার মানুষ বসবাস করছে। এসব এলাকার মানুষ নানন অপরাধ কর্মকান্ডে গ্রোস করে রেখেছে। এই অপরাধ দমন করতে নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা নানান প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পড়ে অপরাধিদের দাপটে বিজয়ী প্রার্থী থমকে দাড়ায়। ফলে এই অপরাধ প্রবনতা দমন করতে পারছে না কেউ।
আগামী ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওঃলীগ ও বিএনপি দুই বড় রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে তিন জন প্রার্থী এবার নির্বাচনি মাঠে নামছে। বিএনপি সমর্থিত সদ্য সাবেক কাউনন্সিলর মোঃ শাহাজান (রেডিও), আওঃলীগ সমর্থিত সাবেক কাউনন্সিলর মোঃ জাফর (টেলাগাড়ি) ও আওঃলীগ সমর্থিত অপর প্রার্থী তৌফিক আহম্মদ চৌধুরী (ঘুড়ি) প্রতিক নিয়ে জোরে-সোরে প্রচার প্রচারণা গন-সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। আওঃলীগ সমর্থিত প্রার্থী দু’জন হওয়ায় নির্বাচনি মাঠে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহাজানের জয় জয়কার অবস্থা বিরাজ করছে। ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় আনুমানিক ২৯ হাজার ভোটার রয়েছে। উক্ত ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২টি । এই ওয়ার্ডে ছোট বড় যুবক-যুবতি ময়-মুরুব্বিদের মুখে মুখে রয়েছে রেডিও প্রার্থী শাহাজানের কথা। তিনি উক্ত এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক তৈরি করায় এলাকায় ভোটারদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। আওঃলীগ সমর্থিত প্রার্থী দু’জন হওয়ায় এলাকাবাসীর জনপ্রিয়তায় কাউনন্সিলর প্রার্থী শাহাজান পুনরাই উক্ত আসন দখল করতে পারে বলে মনে করেন ভোটাররা। তাছাড়া অন্য প্রার্থী জাফর আহম্মদ তিনিও ভোটারদের ভালবাসা নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। কাউনন্সিলর প্রার্থী তৌফিক আহম্মদ চৌধুরী তিনি নির্বাচনে নতুন প্রার্থী হলেও এরপরও ভোটারদের মায়া-মমতা নিয়ে এবার নির্বাচিত হওয়ার আশা করছেন।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, উক্ত এলাকার কিছু কিছু মানুষ নানান অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ডসহ মদ, গাজা, হিরোইন, ইয়াবাসহ পাহাড় কাটা অপরাধীদের বসবাস রয়েছে এই এলাকায়। নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা এই সব অপরাধ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও নির্বাচন শেষে এসব প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়। এতে করে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন নির্বাচনে জয়ী হবার পর এসব অপরাধীদের অপরাধ কর্মকান্ডের কাছে হার মানে। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে এলাকার পরিবেশ বাদীরা হাজারও দাবী জানালেও এ দাবী শোনার কেউ নেই। উক্ত এলাকার বেশির ভাগ মানুষ স্থানীয় বিদুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তদের সাথে গোপনে সর্ম্পক রেখে অবৈধ ভাবে বিদুৎ লাইন চালিয়ে গেলেও সরকারি স্বার্থে উক্ত এলাকার নির্বাচিত জন-প্রতিনিধিরা এব্যাপারে কোন খোঁজ খবর রাখে না বলে জানা গেছে।
Discussion about this post