বিমান যখন মাঝআকাশে, তখনই গর্ভযন্ত্রণা ওঠে মহিলার। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে লন্ডন থেকে তিনি যাচ্ছিলেন বস্টন। মহিলার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে, তড়িঘড়ি বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন চালক। বিমান তখন নোভা স্কোটিয়ার আকাশে। কিন্তু, বিমানটি ল্যান্ডিং করার আগেই সন্তানপ্রসব করেন ওই মহিলা। তা না হয় হল। কিন্তু, বাচ্চাটির জন্মস্থান হিসেবে কী উল্লেখ করা হবে? কোন দেশেরই বা সে নাগরিকত্ব পাবে?
এটা যে কোনও একজনের ক্ষেত্রে ঘটেছে, তা নয়। অতীতেও এমন নজির রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মহিলা জন্মসূত্রে মিশরীয় হলেও, এখন রয়েছেন মার্কিনমুলুকে। মার্কিন ভিসা নিয়েই তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে উঠেছিলেন। মহিলার গর্ভযন্ত্রণা ওঠায়, বস্টনের আগেই কানাডায় তাঁর জন্য বিমান অবতরণ করতে হয়। ফলে, বাচ্চাটি কোথাকার নাগরিকত্ব পাবে?
আমেরিকার নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, সদ্যোজাতের বাবা-মা দু’জনেই যদি মার্কিন নাগরিক হন, এবং দু’জনের একজন যদি বাচ্চার জন্মের আগে অন্তত এক বছর আমেরিকায় থাকেন, তা হলে শিশুটির মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে কোনও সমস্যাই নেই। বা ধরুন, মা-বাবার একজন যদি জন্মসূত্রেই মার্কিনি হন, এবং অন্যজন মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে বাচ্চার জন্মের আগে অন্তত এক বছর সে দেশে থাকেন, তা হলেও সন্তানের নাগরিকত্ব পেতে সমস্যা হবে না। ফলে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে জন্মানো বাচ্চাটির মার্কিন নাগরিকত্ব নিশ্চিত।
মা-বাবা যেখানকারই নাগরিক হোন না কেন, এ ধরনের ক্ষেত্রে (ইন-এয়ার বার্থ) অনেক দেশই কিন্তু সদ্যোজাতকে সেখানকার নাগরিকত্ব দেন। এ জন্য আলাদা করে তদ্বিরের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে, বেশির ভাগই সময় এই শিশুরা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। মা-বাবা যেখানকার নাগরিক সেখানকার তো বটেই, সেইসঙ্গে জন্মের শংসাপত্রে জন্মস্থান হিসেবে যেখানকার উল্লেখ থাকে, সেই দেশেরও নাগরিকত্ব মেলে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ সূত্রে জানানো হযেছে, আসন্ন প্রসবাকে (প্রসব হতে একমাস বাকি) তাদের বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই এ ধরনের ইন-এয়ার বার্থ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে খুব কমই হয়। তা ছাড়া, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তারা বিমানসেবিকাদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে।
– সূত্র : এই সময়
Discussion about this post