বিডি ল নিউজঃ অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের পেসার আল আমিন হোসেনকে। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) তাঁর বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’র অভিযোগ তোলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁর বদলি হিসেবে পেসার শফিউল ইসলামকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসার জন্য অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সে আগামীকালের টিকিটও বুকিং দেওয়া হয়েছে তাঁর নামে। এর আগে শুনা গিয়েছিল যে, রাত ১০টা মধ্যে টিম হোটেলে ফিরতে হবে, বিশেষ ক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতিক্রমে ১০টার পরও বাইরে থাকা যাবে। কিন্তু আল-আমিন ম্যানেজমেন্টের কোনো অনুমতি নেননি, আবার রাত ১০টার মধ্যে হোটেলেও ফিরেননি। অথচ বিষয়টি জানতই না বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট! আকসুর (আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তা বিষয়ক ইউনিট) কাছ থেকে বিষয়টি জানতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের বক্তব্যে পাওয়া গেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের এমনই দুরবস্থার সংবাদ।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ যখন আগামী ম্যাচগুলোতে ভাল কিছু করার প্রত্যাশায়, তখন রবিবার অপ্রত্যাশিত এক খবর নাড়া দিয়েছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনকে। বিশ্বকাপ মিশনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের পেসার আল-আমিন হোসেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ-গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিসবেনের স্থানীয় সময় রাত ১০ টার পরও বিনা অনুমতিতে টিম হোটেলের বাইরে ছিলেন আল-আমিন। যে কারণে শাস্তি হিসেবে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তার বদলী হিসেবে শোনা যাচ্ছে আরেক পেসার শফিউল ইসলামের নাম।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকইনফো। সুজন ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘সাধারণত একজন ক্রিকেটারকে রাত ১০টার পরে টিম হোটেলের বাইরে থাকতে হলে ম্যানেজমেন্টের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আমরা জানতাম না যে সে এই সময়েও হোটেলের বাইরে রয়েছে। পরবর্তী সময়ে আকসুর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি আমরা। যত শিগগিরই সম্ভব তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’
আল-আমিন কেন হোটেলের বাইরে ছিলেন এর কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে সুজন ক্রিকইনফোকে নিশ্চিত করেছেন যে, বিষয়টির সঙ্গে দুর্নীতি জাতীয় কোনো বিষয়ের সম্পর্ক নেই। নিছকই এটি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তি। এদিকে, আল-আমিনের পরিবর্তে পেসার শফিউল ইসলামকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হবে বলে খবর ছড়ালেও দুপুরে শফিউল জানিয়েছেন, এই বিষয়ে বিসিবির কাছ থেকে কোনো ধরনের কোনো ফোন পাননি তিনি।
অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আকসু ক্যানবেরা থেকেই আল আমিনের ওপর নজর রাখছিল। সেখানে সন্দেহজনক কিছু লোকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও নাকি করেছেন এই পেসার! ব্রিসবেনে যাওয়ার পরও ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত হোটেলের বাইরে ছিলেন আল আমিন। নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০টার পর কোনো খেলোয়াড় হোটেলের বাইরে গেলে তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আল আমিন ওই এক ঘণ্টা হোটেলের বাইরে ছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি না নিয়েই।
সূত্রঃ প্রথম আলো, দ্য রিপোর্ট
Discussion about this post