সালমানের সঙ্গে সর্বাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন চিত্র নায়িকা শাবনূর। নব্বইয়ের দশকে শাবনূর-সালমান মানেই ছবি হিট। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছে এই জুটি।
নায়িকা শাবনূর বলেন, ‘আসলেই আমি অনেক ভালো একজন বন্ধু পেয়েছিলাম। একজন সহকর্মী পেয়েছিলাম। প্রতিবছর এই দিনটা এলে মনটা ভারী হয়ে যায়, তাঁকে তো আমি আমার অস্তিত্বে অনুভব করি। আজ বাংলাদেশের মানুষ আমাকে এক নামে চেনে। অনেকেই নায়িকা শাবনূর হতে চায়। কিন্তু শাবনূর হতে গেলে সালমানের মতো একজন সহশিল্পীও লাগে। সহশিল্পী যেমন অভিনয় করবে, তার প্রভাব নিজের কাজেও পড়বে। আমি খুব লাকি ছিলাম যে সালমানের মতো একজন শিল্পী পেয়েছিলাম। আর আমি অনেক দুঃখী একটা মেয়ে যে এমন একজন বন্ধুকে হারিয়েছি।’
শুধু সহশিল্পীরাই নয়, সালমানের সঙ্গে অভিনয় করেননি তবু তাকে আদর্শ মানে এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। আজকের এই দিনটিতে তারাও গভীরভাবে শোকাহত।
রুপালী পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা পপি ঢাকাটাইমসকে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নায়ক সালমান শাহ। আমার কাছেও ভীষণ প্রিয় তিনি। সালমান শাহের শূণ্যতা কেউ পূরণ করতে পারবে না। সালমান শাহের জায়গা শুধু তাঁর জন্যই বরাদ্দ থাকবে। যুগে যুগে এমন নায়ক খুব কম আসেন। উত্তম কুমার, দিলীপ কুমারের যেমন কোন বিকল্প নেই, তেমনি সালমান শাহও একজন কিংবদন্তী।
পরিচালক শাহ আলম কিরণ সালমান শাহ এবং শাবনূর জুটিকে নিয়ে বানিয়েছিলেন ‘সুজনসখী’ ছবিটি। এই পরিচালক ঢাকাটাইমসকে বলেন, সালমান প্রচণ্ড মেধাবী ছিলেন। যে কোন চরিত্র অল্প সময়েই মাথায় নিতে পারতেন। তাকে ঘিরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রে সালমান শাহের শূণ্যতা এখনো পূরণ হয়নি। তারপর মান্না এসেছেন, অল্প সময়ে চলেও গেছেন। শাকিব এসেছেন, কাজ করছেন এখনো। কিন্তু সালমানের শূণ্যতা কিছুতেই পূরণ হয়নি। সালমান শাহের মৃত্যুর ১৯ বছর হলো। কিন্তু তার জন্য ভক্তদের ভালোবাসা এতটুকু ম্লান হয়নি। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের আকাশে সালমান শাহ এক চির উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে।
Discussion about this post