বিডি ল নিউজঃ
পুলিশের গ্রেপ্তার ও গুলি উপেক্ষা করে এবার রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে আত্মগোপনে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিকভাবে সব বাধা মোকাবেলা করে গণতন্ত্র ছিনিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সব বাধা
মোকাবেলা করে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইভাবে সারাদেশে বিএনপি এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টি করে। এমনকি হরতাল-অবরোধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে গুলি চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যায় মেতে উঠেছে।
তার অভিযোগ, প্রাণ রক্ষা আর গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিলেও সরকার পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন চালাচ্ছে। এতে নেতাকর্মীদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এছাড়া গণতন্ত্র ধ্বংসে সরকারে হীন ষড়যন্ত্র বুঝতে শিখেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ফলে নিরুপায় হয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠেনর নেতাকর্মীরা সবকিছু উপক্ষো করে রাজপথে মিছিল সমাবেশ করায় একমত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি নেতাকর্মীরা সারাদেশে পুলিশ গ্রেপ্তার, গুলি ও সরকারি দলের তাণ্ডব উপেক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য যা যা করতে হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সবকিছু করবে। যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র ছিনিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান আভাস দিয়ে বলেন, পুলিশ আমাদের আর বেশিদিন দমিয়ে রাখতে পারবে না। রাজপথে খুব শিগগির আমরা ফিরছি। এবার আন্দোলনে বিজয় আমাদের হবেই হবে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে পুলিশি বাধা ও সংঘর্ষের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখাকে কেন্দ্র করে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ও হরতাল পালন করে আসছে ২০ দলীয় জোট। এতে দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও পেট্টলবোমায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে দীর্ঘ দেড় মাসের এই কর্মসূচি এখন একরকম ঝিমিয়ে পড়ে। ফলে কর্মসূচি পরিবর্তন
করে রাজপথে মিছিল ও সমাবেশ করার মতো আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা জানান, ৫ জানুয়ারি নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার পর গা ঢাকা দেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর থাকলেও রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আসছেন আত্মগোপনে থাকা এসব নেতা।
Discussion about this post