আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলতে কি বুঝেন? দেহ ও সম্পত্তি রক্ষার থেকে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো ।
উত্তরঃ আত্মরক্ষার সংজ্ঞাঃ– নিজের জানমাল, অপরের জানমাল ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে আক্রমণকারীর আক্রমন প্রতিহত করার জন্য যে শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাকেই আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলে।
দন্ডবিধি আইনের ৯৬, ৯৭ ধারা।
দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে দন্ডবিধি আইনের ১০০ ধারায় নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে আক্রমণকারীর মৃত্যু ঘটানো যাবে । পিআরবি ১৫৩ বিধি।
দেহ রক্ষার ক্ষেত্রেঃ-
১। মৃত্যু ঘটানোর জন্য আক্রমন করলে ।
২। গুরুতর আঘাত ঘটানোর জন্য আক্রমণ করলে ।
৩। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আঘাত বা আক্রমন করলে ।
৪। অপ্রাকৃত কামলালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে ।
৫। কাউকে অপহরণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে ।
৬। কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে বা বেআইনী ভাবে আটক করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে যে ক্ষেত্রে সরকারী কর্তৃপক্ষের আশ্রয় লাভের সুযোগ থাকে না। এইরূপ আশঙ্খা হইলে।
দণ্ডবিধি ১০০ধারা
অপরাধটি যদি দণ্ডবিধি আইনের ১০০ ধারার অধিনে না হয় তাহলে দেহ রক্ষার জন্য মৃত্যু ব্যতীত অন্য যে কোন ক্ষতিসাধন করা যাবে।
দঃবিঃ আইন ১০১ ধারা
সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারা যেমনঃ
প্রথমতঃ দস্যুতার ক্ষেত্রে।
দ্বিতীয়তঃ রত্রীকালে বেআইনীভাবে গৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে ।
তৃতীয়ঃ কোন গৃহ, তাবু বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধনের ক্ষেত্রে । যদি উক্ত গৃহ, তাবু,যানবাহন, মানুষের বসবাসের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
চতুর্থঃ চুরি, অনিষ্ট কিংবা গৃহে অনধিকার প্রবেশ যতি পরিস্থিতি এমন হয় যে, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ না করলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত অনির্বায। ন্যায়সঙ্গতভাবে এইরূপ আশঙ্খা সৃষ্টি হলে।
দণ্ডবিধি আইন ৯৬,৯৭,১০৩ ধারা।
অপরাধটি যদি দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারার অধিনে না হয় তাহলে সম্পত্তি রক্ষার জন্য মৃত্যু ব্যতীত অন্য যে কোন ক্ষতিসাধন করা যাবে।দঃবিঃ আইন ১০৪ ধারা।
তাছাড়া নিরাপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে আত্বরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু পযর্ন্ত ঘটানো যাবে। দণ্ডবিধি ১০৬ ধারা
দন্ডবিধিঃ ৯৬, ৯৭, ১০০,১০১, ১০৩,১০৪, ১০৬ ধারা।পিআরবিঃ ১৫৩ বিধি।
Discussion about this post