সেই ১৯৪০ সালে ২২ বিঘা আবাদি জমি নিয়ে কুষ্টিয়ার কৃষক ফাকের আলীর সঙ্গে মামলার শুরু ইদ্রিস খলিলের। ফাকের আলীর অভিযোগ, তার কাছ থেকে ১৯৩৬ সালে ইদ্রিস খলিল তিন বিঘা জমি কিনেছেন; কিন্তু জাল দলিল করে তার সব জমিই (২২ বিঘা) দখল করেছেন। এ নিয়ে বহু সালিশেও সুরাহা না হওয়ায় জমির ন্যায্য মালিকানা ও দখল ফিরে পেতে ১৯৬২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নদীয়া (পরে কুষ্টিয়া) জেলা আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেন ফাকের আলী। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে মারা যান তিনি। পরে এ মামলার হাল ধরেন ফাকের আলীর জ্যেষ্ঠ ছেলে নেফাজউদ্দিন আহমেদ। ২০০২ সালে তিনিও মারা গেছেন, কিন্তু এখনও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। কুষ্টিয়া জেলা আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে মামলাটি এখন বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মেহেরপুর জেলা আদালতে বিচারাধীন (মামলা নম্বর: আপিল ২০৬/১৯৮৯)। বর্তমানে এ মামলার বাদী নেফাজউদ্দিনের তৃতীয় ছেলে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ। গত ১৮ জানুয়ারি মেহেরপুরের আদালতে মামলাটি শুনানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরবর্তী শুনানি হবে ২৬ জানুয়ারি। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘বিচারের যে গতি দেখছি, তাতে মনে হয় না আমার জীবদ্দশায়ও এ মামলার নিষ্পত্তি হবে।’
সময়মতো বিচার শেষ না হওয়ায় এমন হতাশা শুধু রাজুর নয়, ভুক্তভোগী লাখো বিচারপ্রার্থীর। সুপ্রিম কোর্টের হিসাব অনুসারে, দেশে এ মুহূর্তে মামলাজট সাড়ে ৩১ লাখ। এর মধ্যে ভূমি-সংক্রান্ত মামলা প্রায় ৫৫ শতাংশ। বাকি ৪৫ শতাংশ ফৌজদারিসহ অন্যান্য মামলা। দ্রুত বিচার পাওয়া বিচারপ্রার্থীর অধিকার। কিন্তু দেশের আদালতগুলো প্রশাসনিক ও পদ্ধতিগত কারণে সংকটের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংকট দূর করতে বিচারক ও সহায়ক জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, বিচারসংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
পর্যাপ্ত বিচারক ও এজলাস নেই: অনুসন্ধানে দেখা যায়, দেশের অধস্তন আদালতগুলো বিচারক ও এজলাস সংকটে আক্রান্ত। শূন্য পদে বিচারক নিয়োগ না হওয়ায় এসব আদালতে বাড়ছে মামলাজট। সুপ্রিম কোর্টের তথ্যানুসারে, এসব অধস্তন আদালতে বর্তমানে ৪০৮ বিচারকরে পদ শূন্য রয়েছে, যা মোট বিচারকের এক-চতুর্থাংশ। এ ছাড়া নতুন মামলা নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত এজলাসও নেই অনেক আদালতে। দেশের ১৭০টি আদালতে বিচারকদের কোনো নিজস্ব এজলাস নেই বর্তমানে। তারা অন্য বিচারকের এজলাস ভাগাভাগি করেন। অর্থাৎ একজন বিচারক বিচারকাজ শেষ করে অন্যকে বিচারকাজ করার সুযোগ দেন।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুধু বিচার বিভাগের একার পক্ষে এ সংকট নিরসন করা সম্ভব নয়। আবার শুধু সরকারের পক্ষেও বিচারপ্রার্থীর ভোগান্তি দূর করা সম্ভব নয়। এ জন্য দুই বিভাগের কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। সরকারকে অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টের প্রয়োজন অনুযায়ী আদালত কাঠামোর সংস্কারে পর্যাপ্ত সহযোগিতা দিতে হবে।’
প্রয়োজনীয় আদালত নেই: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুগ্ম জেলা জজ গণমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন জেলায় প্রয়োজনীয় আদালত না থাকায় বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন, একটি ঘটনা হয়তো পরিবেশ-সংক্রান্ত; কিন্তু সংশ্লিষ্ট জেলায় পরিবেশ আদালত না থাকায় আইনজীবী ও বাদী বিষয়টিকে অন্য ধারা ব্যবহার করে ফৌজদারি মামলায় পরিণত করেছেন। এ ধরনের ঘটনা আদালতে হামেশাই ঘটছে। এতে কোনো পক্ষই প্রকৃত অর্থে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। এ জন্য পুরো বিচার কাঠামো সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় সংকট দূর করা জরুরি।
সংবিধান অনুসারে দেশে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট আদালত রয়েছে। প্রথম স্তরে সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ যথাক্রমে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও হাইকোর্টের সমমর্যাদাসম্পন্ন। দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে অধস্তন আদালত। প্রয়োজনের তাগিদে অধস্তন আদালতে গত দুই যুগে কমপক্ষে নতুন নয় ধরনের আদালত ও ট্রাইব্যুনাল সৃষ্টি করা হয়েছে; কিন্তু এর জন্য প্রয়োজনীয় বিচারক ও জনবল দেওয়া হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্য আদালতের বিচারককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে নতুন গঠিত আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পদ্ধতিগত কারণে সাইবার আদালত, প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালসহ অনেক আদালতের বাদী ও বিবাদীকে ঢাকামুখী হতে হচ্ছে। কারণ এসব আদালতের কার্যক্রম শুধু ঢাকাতেই হচ্ছে। তাই সার্বিকভাবে মামলা নিষ্পত্তিতে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকাও রাখতে পারছে না বিচার বিভাগ।
গত ২৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচাপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নতুন নতুন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর এর জন্য বিচারক ও সহায়ক জনবল নিয়োগ অপরিহার্য হলেও সরকার উদাসীন। এতে বিচারকাজে কাঙ্ক্ষিত গতি আসছে না।’
উচ্চ আদালত: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জন্য ১১ জন বিচারপতির পদ থাকলেও বর্তমানে আটজন কর্মরত রয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন নিয়মিত বেঞ্চ ও অপর একটি বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল নিষ্পত্তি করে থাকেন। চলতি বছর আপিল বিভাগের দু’জন বিচারপতি অবসরে যাবেন। ফলে আপিল বিভাগের জন্য বিচারপতি নিয়োগ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। আপিল বিভাগে বর্তমানে ১৩ হাজার ৬৭২টি মামলা বিচারাধীন। অন্যদিকে হাইকোর্টে এক সময় ১০১ জন বিচারপতি থাকলেও বর্তমানে কর্মরত বিচারপতির সংখ্যা ৮৯ জন। এর মধ্যে চলতি বছরে অবসরে যাবেন পাঁচজন বিচারপতি। হাইকোর্টে বর্তমানে চার লাখ ২৪ হাজার ৯৯৪টি মামলা বিচারাধীন।
অধস্তন আদালত: জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/মেট্রোপলিটন আদালত, মহানগর দায়রা জজসহ কয়েক স্তরের ১৮ ধরনের আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে নানা ধরনের সমস্যাও রয়েছে। এর মধ্যে পারিবারিক আদালত, পরিবেশ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সাইবার আদালত, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, শ্রম আদালত ও শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সংকট প্রকট। বর্তমানে এসব আদালতে কর্মরত বিচারকদের মধ্যে এজলাস নেই ১৭০ জনের। ৪৭ জেলার মধ্যে ঢাকা ও কুমিল্লায় সর্বোচ্চ নয়টি করে ১৮টি এজলাসের ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া জামালপুরে আটটি, পাবনায় সাতটি এবং রাজশাহী, নরসিংদী, শেরপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা ও চাঁদপুরে ছয়টি করে ৩৬টিসহ দেশের অন্য জেলাগুলোতেও এজলাসের ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচারক ও এজলাস সংকট দেশের অধস্তন আদালতের অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ৬৪টি জেলায় আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বিচারক ও বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে।’
সংকটপূর্ণ অধস্তন আদালতের কয়েকটি: ২০১৪ সালের এপ্রিলে প্রতি জেলায় গঠিত হয় শিশু আদালত। এখনও এ আদালতের জন্য পৃথক বিচারক ও সহায়ক জনবল নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে ‘অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত’ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শিশু আদালত পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া বিধিমালা না থাকায় শিশু আদালত প্রায় অকার্যকর। একটি খসড়া বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য বিবেচনাধীন রয়েছে। শিশু আদালতে বর্তমানে ১০ হাজার ৩৬৭টি মামলা বিচারাধীন।
দেশের ৪৩টি জেলায় রয়েছে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল। বাকি ২১টি জেলায় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি। আইনে ল্যান্ড সার্ভে আপিলেট ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান থাকলেও তা এক যুগেও হয়নি। ফলে ট্রাইব্যুনালের রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারছেন না বিচারপ্রার্থীরা। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপিলের বিধান না থাকা ন্যায়বিচার পরিপন্থী।’ এ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৫৫০ টি মামলা বিচারাধীন।
২০১০ সালে পরিবেশ আইনে সংশোধনী আনার পর এখন যে কেউ আদালতে পরিবেশ দুষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তবে বর্তমানে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরিবেশ আদালত এবং ঢাকায় একটি আপিল আদালত সক্রিয় রয়েছে। পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. এম এ মতিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জেলায় পরিবেশবিষয়ক আদালত স্থাপন জরুরি। মাত্র দুটি ট্রাইব্যুনাল দিয়ে পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব নয়।’
২০১৩ সালের ২৮ জুলাই গঠন করা হয় একমাত্র সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল। নিজস্ব এজলাস না থাকায় ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ চলে পাশের বিশেষ জজ আদালতে। ওই আদালত ব্যস্ত থাকলে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ স্থগিত থাকে বা ওই আদালতের বিচারকাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত বিচারককে অপেক্ষা করতে হয়। এ ছাড়া জায়গার অভাবে মামলার নথি ও জব্দ আলামত সংরক্ষণেও সমস্যা হচ্ছে। ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে সাড়ে চারশ’ মামলা বিচারাধীন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি মাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনাল থাকায় দেশের নানা প্রান্তের এ সংক্রান্ত মামলার বাদী ও বিবাদীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অপরাধ বা মামলা হয়ত রাজশাহীতে, কিন্তু বাদী ও বিবাদী উভয়কেই আসতে হচ্ছে ঢাকায়।’ এ ভোগান্তি কমাতে অন্তত বিভাগীয় শহরগুলোতে দ্রুত সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের ওপর জোর দেন তিনি।
সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরি-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য দেশে মোট সাতটি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। তিনটি ট্রাইব্যুনাল রাজধানী ঢাকাতে। অপর চারটি ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও বরিশালে। এসব ট্রাইব্যুনালে সাড়ে ১৩ হাজার মামলা বিচারাধীন। ট্রাইব্যুনালের রায় ও আদেশ নিষ্পত্তির জন্য রয়েছে একমাত্র প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তিন সদস্যের প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে একজন বিচারক পদ ছয় মাস ধরে শূন্য। ফলে কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল।
আইনে দেশের প্রতিটি জেলায় একাধিক নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রয়েছে। বর্তমানে দেশের ৪৬টি জেলায় ট্রাইব্যুনাল রয়েছে ৫৪টি। মামলা অনুপাতে এ সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। ১৮টি জেলায় এ ট্রাইব্যুনাল নেই। ৫৪টি ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে এক লাখ ৪১ হাজার ১৮৭টি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল নেই এমন ১৮টি জেলায় রয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৫টি মামলা। ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অবশ্য ৪১টি নতুন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল গঠন চূড়ান্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়। চলতি বছরে এগুলো কার্যকর হওয়ার কথা।
এ ছাড়া পারিবারিক আদালত এবং শ্রম আদালত ও শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালও চলছে ঢিমেতালে। ৬৪ জেলায় পৃথক আদালতের প্রয়োজন থাকলেও তা নেই। ঢাকায় তিনটি এবং তিনটি বিভাগীয় শহরে পৃথক পারিবারিক আদালত রয়েছে। অন্যদিকে ঢাকায় তিনটি, চট্টগ্রামে দুটি, খুলনায় ও রাজশাহীতে একটি করে শ্রম আদালত রয়েছে। এই সাতটি আদালতের কাজ তদারকির দায়িত্ব অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের। ফলে দেশের অন্য জেলার শ্রমজীবী মানুষরা তাদের মামলা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
আবু সালেহ রনি/সমকাল
Discussion about this post