জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অমান্য করায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলামকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
পটিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলাম কারাদণ্ড দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) তাকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে সে অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২২ অক্টোবর সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় সাইফুল আলম নামে একজন ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ডাক্তারি সনদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু ওই নোটিশে তিনি সাড়া দেননি। পরবর্তীতে আরো দুই দফা তাগাদা দেওয়ার পরও আহত ব্যক্তি ডাক্তারি সনদটি দেওয়া হয়নি। তৃতীয় দফায় গত ১৪ মে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হলেও তিনি হাজির হননি। এতে ম্যাজিস্ট্রেট বাদি হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮৫ ধারায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলাম ডা. শফিকুল ইসলামকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পটিয়া থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শেখ মো. নেয়ামত উল্লাহ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শফিকুল ইসলাম জানান যে, আদালত থেকে যে সমন ইস্যু করা হয়েছিল, তা আমি পাইনি। হাসপাতালের কর্মচারী আদালতের গুরুত্বপূর্ণ এ নোটিশটি আমার কাছে হস্তান্তর করেনি। যার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
Discussion about this post