বিডিলনিউজ: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, আইনের মাধ্যমে আদালতের বাইরে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারলে ৩/৪ মাসে মামলা সমাধান সম্ভব। তাহলে মামলা জটও অনেকাংশে কমে আসবে।
রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে গতকাল দেওয়ানি কার্যবিধি (সংশোধন) আইন ২০১২ অনুযায়ী বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির বাধ্যতামূলক বিধান প্রয়োগ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুইজনের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ কম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হলে তা জনগণের জন্য অধিক কল্যাণকর উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারের উদ্দেশ্য হলো বিরোধ নিষ্পত্তি করা আর সেটা যদি হয় কম সময়ের মধ্যে তাহলে বিচার প্রার্থী লাভবান হবেন। এই বিরোধ নিষ্পত্তি যদি কোন ব্যবসা বা পারিবারিক সম্পর্ক বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে তাদের মধ্যে আন্তরিকতা হ্রাস পাবে না। তিনি বলেন, বিচারক ও মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবী যদি আন্তরিক হন এবং মামলা কম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করে দেয় তাহলে আইনজীবীদের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্লায়েন্টও বাড়বে।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সারাদেশে মামলা নিষ্পত্তি করলে প্রাথমিক অবস্থায় বুঝে উঠার আগে কিছু আইনজীবীর বাধার সম্মুখীন হতে পারে তাই প্রথমে ৬ জেলায় এই কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী। এই ৬ জেলার সফলতার উপর দেশের অন্যান্য জেলায় আইনটির প্রয়োগের বিষয়টি নির্ভর করে। তিনি বলেন, যে মামলাগুলো অপেক্ষাকৃত কম সিরিয়াস বা ছোট-খাট মামলাগুলো এই আইনের আওতায় নিষ্পত্তি করা যায়। ফৌজদারি আইনের ক্ষেত্রে দেশে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি চালু হলে লাখ লাখ মামলার জট কমবে এবং পক্ষগণের মধ্যে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাবে।
Discussion about this post