উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মানবকল্যাণ বিভাগের পরিচালক মো. দহিদুল ইসলাম সশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবে আদালত তার মৌখিক আবেদন নাকচ করে বিষয়টি লিখিত আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তাজরুল ইসলাম। অন্যদিকে দহিদুল ইসলামের পক্ষে শুনানী করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন।
পরে আইনজীবী তাজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৬ সালে ট্রেড ইউনিয়ন করার অভিযোগে আউয়াল, মোস্তাফিজ, মিজান, তরিকুল, এনামুল, লুৎফর, রেজাউল, জুলফিকার, আলীম, বোরহানসহ মোট ১৬ জনকে চাকরিচ্যুত করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এরপর বোর্ডের সে আদেশ চ্যালেঞ্চ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই কর্মীরা। সেই রিটের প্রেক্ষিতে সংস্থাটির কর্মীদের চাকরিচ্যুত, বদলি এবং হয়রানি না করার বিষয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের ওই আদেশ অমান্য করায় সংস্থাটির মানবকল্যাণ বিভাগের পরিচালক মো. দহিদুল ইসলামকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন আদালত। সে অনুযায়ী দহিদুল ইসলাম আজ বুধবার আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।’
Discussion about this post