মানবপাচার মামলায় জামিন না দেয়ায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহদাত হোসেন ভূঁইয়ার এজলাস ও খাসকামরায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপিত সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে সভাপতি, হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ এবং চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহম্মদ রেজাকে সদস্য করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে প্রধান বিচারপতির নিকট প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, বুধবার মানবপাচার আইনের মামলার আসামি এ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন নামের ওই আইনজীবী ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর পর ওই আদালতে ভাঙচুর চালিয়েছেন তার পক্ষের আইনজীবীরা। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে তারা পুলিশের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া এজলাস ছেড়ে নিজের খাস কামরায় চলে যান। এরপর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বিচারকের খাস কামরায় ঢোকেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পরে সন্ধ্যায় ঐ আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রীকে জামিন দেন আরেকটি আদলত। এই ঘটনার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরই প্রধান বিচারপতি কমিটি গঠন করেন। কমিটি সদস্যরা সকালে চট্টগ্রামে গিয়ে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, আইশৃঙ্খলার সদস্য ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বক্তব্য গ্রহণ করছেন।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জবানবন্দি নেয়া হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব।
Discussion about this post