বিডিলনিউজঃ আজ রবিবার আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে লন্ডনভিত্তিক খ্যাতনামা সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে অব্যাহতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালঅভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে আদেশ দেন। এ বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৮ জুলাই ইকোনমিস্ট ও প্রসিকিউশন উভয়পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষ হয়। আদালতে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও প্রসিকিউশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ সীমন।
শুনানিতে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার মক্কেল প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করতে ঘটনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পারেন।
তিনি বলেন, তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য বিচারপতির কাছে ফোন দেয়া হয়েছে। আর ওই ফোনে বিচারপতিও কথা বলেছেন। তথ্য যাচাইয়ের জন্য কথা বলা আদালত অবমাননা হওয়ার কথা না।
এছাড়া তিনি মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার একটি পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেন। যাতে বলা হয়েছে, সৎ উদ্দেশ্যে (in god faith) যদি কোনো সাংবাদিক কোনো বিচারকের আচরণ (conduct) বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তবে তাতে আদালত অবমাননা হবে না।
অন্যদিকে, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, একজন বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে ওই আদালতের কর্মকর্তা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। সরাসরি বিচারপতির কাছে জানতে চাওয়া অপরাধের মধ্যে পড়ে। এটা একটি ফৌজদারি অপরাধের শামিল।
উল্লেখ্য, স্কাইপ কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। রুলে পত্রিকাটির সম্পাদক ও দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো চিফের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
এরপর বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশ করে দৈনিক আমার দেশ। ফলে তিনি ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করেন।
Discussion about this post