উচ্চ আদালতের এজলাস কক্ষে চিৎকার, বেঞ্চ কর্মকর্তাকে মারধর, মামলার নথি তছনছ ও আদালতের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে হাইকোর্টে হাজিরা স্বশরীরে হাজিরা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী।
আজ রোববার (২ জুলাই) বিচারপতির নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চে এই ৫ আইনজীবী হাজির হলে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ১০ জুলাই দিন ধার্য্য করেন।
সেই সঙ্গে আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই আইনজীবীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন আইনজীবী নূরে আলম উজ্জ্বল ও বিল্লাহ হোসেন পাটোয়ারী। এছাড়া সবাইকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি অজি উল্লাহ, সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, শ ম রেজাউল করিম, বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ।
এর আগে, গত ২০ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারির পাশাপাশি ওই আইনজীবীদের ২ জুলাই স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
আদেশে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নূরে-ই আলম উজ্জ্বল, বিল্লাহ হোসেন পাটোয়ারী, মাহমুদ, মতি লাল ব্যাপারী ও মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চের সামনে কিছুসংখ্যক আইনজীবী হঠাৎই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এতে আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
ওই ঘটনার একপর্যায়ে ওই আইনজীবীরা এজলাসের সামনে এসে রফিকুল ইসলাম নামে এক বেঞ্চ কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তারা মামলার নথিপত্র তছনছ করে দেন। তালিকাভুক্ত না হওয়া মোশন (আবেদন) শুনানি হয়নি বলে ওই আইনজীবীরা অজুহাত হিসেবে দেখান।
তখন আদালত সংলগ্ন খাস কামরায় থাকা বিচারকেরা আইনজীবীদের এমন হট্টগোলের শব্দ শুনতে পান। আদালতে আইনজীবীদের এমন আচরণ আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা খাটো করেছে; যা আদালত অবমাননার শামিল এবং শাস্তিযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়।
Discussion about this post