জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি আজও (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুনানি শেষে আগামীকাল (বুধবার) পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
দ্বিতীয়দিনের মতো শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। খালেদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
৭ আগস্ট (সোমবার) খালেদার আবেদনের উপর প্রাথমিক শুনানি শুরু হয়। আজ ছিল শুনানির দ্বিতীয় দিন। এর আগে ৬ আগস্ট (রোববার) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তনের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন। এর আগেও ১৪ মার্চ খালেদা জিয়ার আবেদনে এই মামলায় বিচারক ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত পরিবর্তন করে ড. আখতারুজ্জামানের কোর্টে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এতদিন এই আদালতে মামলার কার্যক্রম চলার পর এখন আবারও বিচারক পরিবর্তনের আবেদন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ কুয়েতের আমির দিয়েছেন। যে টাকা লাভসহ (প্রায় পৌনে ৬ কোটি) এখনও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।
খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
Discussion about this post