বিডি ল নিউজঃ গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ যখন মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহল রাখলেন, তখন থেকেই কখন ফাঁসি কখন ফাঁসি এই নিয়েই এখন দেশ ও দশের আলোচনা। কেউ কেউ ভাবছেন কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি চাইবেন না এই নিয়ে। তবে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য কারাগারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থায়ী ফাঁসির মঞ্চ তৈরি ও ধোয়া-মোছার কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে সোমবার সকালে দুইবার ফাঁসির মহড়া দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কমপক্ষে ২০ জন জল্লাদের তালিকা কারা কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদ জনি, রাজু, পল্টু, আলমগীর, এরশাদ, সাত্তার ও রানা রয়েছেন। জনি মানবতাবিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরে সহযোগীর দায়িত্ব পালন করেছেন। জল্লাদের তালিকায় তার নাম প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে। কার্যকরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করায় এখন শুধু সরকারের নির্বাহী আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদের বাইরে কাশিমপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা কারাগারের জল্লাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চ ও রশি প্রস্তুত রয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। কারাগার সূত্র জানায়, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জেল কোড গুরুত্ব পাবে না। সেক্ষেত্রে সরকারের নির্বাহী আদেশ প্রয়োজন। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আদেশ আসতে হবে। সে আদেশ আসলেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেছেন, আমাদের কাছে নির্বাহী আদেশ আসলেই আমরা ফাঁসির আদেশ কার্যকর করব। মঙ্গলবার সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত চলতি সপ্তাহ পুরোটাই হরতালে আবদ্ধ ছিল। এখন কামারুজ্জামানের ফাঁসি হলে হয়ত আবারো হরতালের আহ্বান করা হতে পারে। ঐ দিকে ২ তারিখ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা এখনো শুরু হতে পারেনি।
Discussion about this post