গত ৫ মে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গুলশান, বনানী ও বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ ও উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন,‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হককে এ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী উপহার দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে ৫০কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থ মঞ্জুরের বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সরোজ কুমার নাথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়।
আ জ ম নাছির উদ্দিন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য প্রথম কোন বরাদ্দ এটি। কিন্তু ঢাকা উত্তরের তুলনায় চট্টগ্রামের ভাগ্যে এমন কম বরাদ্দ দেওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সিকান্দার খান বাংলানিউজকে বলেন,‘এটা পরিষ্কারভাবে চট্টগ্রামের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। এ ধরণের ঘটনায় একটা দৃষ্টান্ত হয়ে গেছে। ’
তিনি বলেন,‘সরকারের অগ্রাধিকার তালিকা আছে। তারমধ্যে বিভিন্ন শহরের তারতম্যেগুলো ধরা পড়ে। সবকিছু কেন্দ্র নির্ভর হয়ে গেছে। রাজধানী বেশি পাবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু অন্য শহরগুলোর বরাদ্দও পাশাপাশি বিবেচনায় রাখতে হবে। চট্টগ্রামতো কোন অংশে কম নয়।’
২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারীতে টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাজধানী সাজাতে ১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। একই ইভেন্টে চট্টগ্রাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু হলেও বন্দরনগরীকে সাজাতে কোন বরাদ্দ দেয়নি সরকার।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৫টি ম্যাচ ও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
Discussion about this post