স্বর্ণ জব্দের পর আপন জুয়েলার্সের শোরুমগুলো কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কারণ তাদের ব্যবসায় কোনও বাধা নেই। কর্তৃপক্ষ শোরুমগুলো সময়মতো ব্যাবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দার অতিরিক্ত মহাপরিচালক নুরুল হুদা আজাদ। রবিবার দুপুরে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নুরুল হুদা আজাদ বলেন, ‘আমাদের মূল অভিযোগ স্বর্ণ নিয়ে। তাই স্বর্ণ জব্দ করার পর ব্রাঞ্চগুলো কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেগুলো আর সীলগালা থাকছে না। কর্তৃপক্ষ তাদের সময়মতো ব্রাঞ্চ খুলতে পারবেন।’
স্বর্ণের অর্ডারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে নানা ক্যাটাগরিতে অর্ডার রয়েছে। কেউ অল্প টাকা দিয়ে, কেউ হাফ টাকা দিয়ে, কেউ ফুল টাকা দিয়ে আবার কেউ টাকা ছাড়াই বুকিং দিছে। আমরা এসব ক্যাটাগরি হিসাব করে একটি তালিকা তৈরি করব। সেই তালিকা মালিকপক্ষ এবং আমাদের কাছে রয়েছে। গ্রাহকরা কাগজ দেখিয়ে তাদের অলঙ্কার নিতে পারবেন। আমরা স্বর্ণগুলো সাময়িকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখছি। সেখান থেকে গ্রাহকের অর্ডারের কাগজপত্র দেখিয়ে নিতে পারবেন।’
অনেকে স্বর্ণ বিক্রি করে টাকা নিতে পারেন নি তাদের বিষয নুরুল হুদা আজাদ বলেন, ‘এই দায় আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষের। তারা যখন ব্রাঞ্চগুলো খুলবে, তখন গ্রাহকরা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন।’
কাস্টমসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যেসব স্বর্ণের কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি, আমরা শুধুমাত্র সেইসব জব্দ করছি। আগেও তাই বলছি। সেই স্বর্ণের পরিমাণই বেশি, গ্রাহকের স্বর্ণ কম।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে আটক করে। এসব সোনা ও হীরার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেওয়া হয়। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা এসব সোনা-হীরার কোনও প্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেওয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post