২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক আমানতের উপর আরোপিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধিত ধারা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের এক আইনজীবী।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয় সচিব, অর্থ সচিব ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
নোটিশের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৪৪ সালে আবগারি শুল্ক আইন তৈরি হয়। কোন ধরনের পণ্যের উপর আবগারী শুল্ক আরোপ করা যাবে, তা এই আইনের ২ (জে), (কে) ও ৮ নম্বর ধারায় বলা আছে। যেই তালিকায়- টোবাকো, কফি, স্বর্ণ, রৌপ্যের মতো পণ্য রয়েছে। কিন্তু ব্যাংক আমানত সম্পর্কে কিছু বলা নাই। ওই আইনের ৩ ধারায়ও এই বিষয়টি বলা আছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ২০০৪ ও ২০১০ সালে এই আইন সংশোধন করে করে ব্যাংক আমানত আবগারি শুল্কের অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। অথচ এই আইন সংশোধন করার ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া হয়নি। শুধু আইন অনুযায়ী তারা একটা রুলস সরকার তৈরি করতে পারে। তাই আবগারি শুল্ক আইন সংশোধন ও শুল্ক আরোপ সংবিধানের ৮, ২৬, ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
সে কারণে সংশোধিত আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিল এবং ব্যাংক আমানতের উপর থেকে আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে এই নোটিশ প্রদান করেন এই আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ সালের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ব্যাংক আমানতের উপর এক লাখ টাকায় ৮০০ টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন। যা পূর্বে ছিল ৫০০ টাকা।
আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেউ ব্যাংকে টাকা রাখলে, তাকে আবগারি শুল্ক দিতে হবে ৮০০ টাকা, ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত কেউ আমানত রাখলে তাকে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা; ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখলে তার ওপর আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে ১২ হাজার টাকা। এছাড়া ৫ কোটি টাকার ওপরে ব্যাংকে টাকা রাখলে তাতে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে ২৫ হাজার টাকা।
Discussion about this post