নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিন কারাগার থেকে সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন করেন তার বাবা বরকত উল্লাহ। সেদিনই তিনি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে বিচারককে বলেছিলেন– তার ছেলের হত্যা মামলাটির বিচার যেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হয়।
৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগকর্মীদের পিটুনিতে মারা যান আবরার। পর দিন আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষোভে-বিক্ষোভে বুয়েট অচল হয়ে পড়ার পর দ্রুত তদন্ত শেষ করে ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
তদন্ত চলাকালে মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আসামিদের মধ্যে এখনও পলাতক আছে মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ নামে তিনজন। এরমধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না। তাদের আত্মসমর্পণ করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।
Discussion about this post