আবহাওয়া অধিদফতর ও আবহাওয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য ‘আবহাওয়া বিষয়ক আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে আজ সোমবার (২২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আবহাওয়া বিষয়ে নতুন করে একটি আইন করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত আবহাওয়ার কোন আইন ছিল না। প্রশাসনিক আদেশে এটা (আবহাওয়া অধিদফতর) চলছে। এটার সঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) একটা সংযোগ আছে। কিন্তু আমাদের কোন আইন নেই।’
আবহাওয়া অধিদফতর, মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মচারীর ব্যবস্থাপনা এগুলো আইনের কাঠামোতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শফিউল আলম বলেন, ‘আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপনা ও রক্ষনাবেক্ষণ সম্পর্কে আইনে বিধান রাখা হয়েছে। পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণে ডিভাইস কি হবে সে বিষয়েও আইনে বলা আছে। জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, জাতীয় ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক স্থাপন- এ বিষয়গুলোই আইনের মূল কথা।’
আবহাওয়া বিজ্ঞানী কারা হবে তা প্রস্তাবিত আইনে উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আবহাওয়া বিজ্ঞানীরাই মূলত আবহাওয়া অধিদফতর পরিচালনা করবেন।’
ভূমিকম্প সংক্রান্ত সংকেত দেওয়ার বিষয়ের খসড়া আইনে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ট্রাস্ট আইনের খসড়া অনুমোদন
মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’, ‘বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ ও ‘খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ট্রাস্ট অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে। অর্ডিন্যান্সগুলোকে (অধ্যাদেশগুলো) আইনে পরিণত করতে আমাদের বিধান রয়েছে। অর্ডিন্যান্সগুলো আইনে রিপ্লেস হবে। নতুন তিন আইনে তেমন কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। যা ছিল তাই আছে।’
তবে আগের আইনে ট্রাস্টগুলোতে সরকারের অনুদানের একটি সীমা ছিল জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘কারো জন্য ৩ কোটি, কারো জন্য ৫ কোটি, কারো জন্য ১০ কোটি ছিল। এখন সেই সিলিং (সীমা) উঠিয়ে দেওয়া হবে। সরকার এখন আনলিমিটেড পরিমাণ সাপোর্ট দিতে পারবে।
Discussion about this post