‘আসামিরা ন্যায়বিচার পাননি, আমরা ক্ষুব্ধ, তারা রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার’ বলে মন্তব্য করেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
পলাতক অন্য চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুরও বলেছেন, ‘আমরা সুবিচার পাইনি। আমরা সংক্ষুব্ধ’।
পলাতক চারজনের মধ্যে শামসুদ্দিন আহমেদের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান ও হাফিজ উদ্দিনও মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে আজহারুল ইসলামকে।
পলাতক আসামিরা যদি আদালতের কাছে আত্মসমপর্ণ করেন তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান আবদুস শুকুর।
এ রায়ে বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন কি-না তা জানতে চাওয়া হলে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা বলেন, আসামির (শামসুদ্দিন) সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।
মঙ্গলবার (০৩ মে) সকালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের ওই পাঁচ রাজাকারকে এ সাজা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একই মামলার ওই পাঁচ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন শামসুদ্দিন আহমেদ। বাকি চারজন পলাতক।
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ২৩তম এ রায় ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।
আসামি পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতনের লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে তিনটি (১, ৩ ও ৪ নম্বর) ছিল পাঁচজনেরই বিরুদ্ধে। বাকি চারটির মধ্যে দু’টিতে (৬ ও ৭ নম্বর) গাজী আব্দুল মান্নান এবং একটিতে (২ নম্বর) নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও একটিতে (৫ নম্বর) শামসুদ্দিন আহমেদ এককভাবে অভিযুক্ত হন।
Discussion about this post