প্রেমিকা জিয়া খান-এর রহস্যজনক মৃত্যুর পর এতদিনে মুখ খুললেন আদিত্য পাঞ্চোলির পুত্র সূরয পাঞ্চোলি। তিনি জানিয়েছেন, এখনও জিয়াকে ভীষণরকম ‘মিস’ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, জিয়ার মৃত্যুতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।
ঘটনার দুবছর পরও এই ঘটনার জেরে বিপর্যস্ত তিনি। বছর ২৫-এর সূরয জানিয়েছেন, এখনও তিনি জিয়াকে ভুলতে পারেননি। এনিয়ে সূরযের বিন্দুমাত্র সংশয় নেই যে, সারা জীবনই তাঁর নাম জিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে। তিনি বলেছেন, জিয়া জীবিত না থাকলেও, ওর নাম আমার সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে, এতেই আমি খুশি। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটা মুহূর্তে তিনি জিয়ার অভাব বোধ করেন। পুরোনো দিনের কথা সবসময়ই মনে পড়ে তাঁর। যখনই কোনও মানুষকে ভালোলাগে, বা তিনি ভালোবাসেন, তখনই জিয়ার কথা মন পড়ে তাঁর। উল্লেখ্য, ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল সূরয-জিয়ার। বয়সে সূরযের থেকে ৫ বছরের বড় ছিল জিয়া। এই বন্ধুত্বই পরবর্তীতে প্রেম অবধি গড়ায়। বলিউডে সূরযের থেকে কিছুটা হলেও বেশি অভিজ্ঞ ছিল জিয়া।
এরপর ২০১৩ সালের জুন মাসে মুম্বইয়ের জুহুর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ব্রিটিশ-আমেরিকান বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের ঝুলন্ত দেহ। জানা যায়, মৃত্যুর আগে শেষবারের মতো জিয়া সুরজের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে জিয়া খানের মা রাবিয়া খানও অভিযোগ তোলেন এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়, জিয়াকে খুন করা হয়েছে।
আদিত্য জানিয়েছেন, জিয়ার মায়ের এই অভিযোগে ভীষণই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এব্যাপারে কোনও সংশয় থাকলে তাঁর উচিত ছিল বিষয়টি যাচাই করা দেখা। এইভাবে তাঁকে অভিযুক্ত করায় তিনি মানসিক ‘ট্রমা’য় চলে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সূরয। তবে জিয়ার মা তাঁকে হেনস্থা করা সত্ত্বেও তিনি চুপ করে ছিলেন কারণ, তিনি জানতেন, তিনি নির্দোষ।
যদিও এই মুহূর্তে জিয়ার শোক কাটিয়ে উঠে আগামী ছবির কাজে মন দিয়েছেন তিনি। ১৯৮৩-র ‘হিরো’ ছবির ‘রিমেক’-এ অভিনয় করছেন তিনি। ছবিটির প্রযোজনায় রয়েছেন সলমন খান ও সুভাষ ঘাই।-এবিপি আনন্দ
Discussion about this post