বিডি ল নিউজঃ দুরন্ত ফিনিসার! ক্যাপ্টেন কুল! এমনই একাধিক বিশেষন তাঁর জন্য। চাপের মুখে একাধিকবার ব্যাট হাতে দলের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চাপের মুখে বুক চিতিয়ে লড়াই করে দলের জয় এনে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ইস্পাত-কঠিন স্নায়ূ, বরফের মতো মাথা ঠাণ্ডা রেখে এমন ভাবেই দলকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়েছেন মাহি। কিন্তু ধোনি গতকাল ম্যাচের পর স্পষ্ট করে দিলেন, তিনি অতিমানব নন। অন্যদের মতো তিনিও চাপ অনুভব করেন। কিন্তু সেই চাপ থেকে কীভাবে বেরোতে হয় তা তাঁর জানা আছে।
তাঁর অপরাজিত ৪৫ রানের সুবাদে গতকাল ওয়াকায় এবারের বিশ্বকাপে ভারত টানা চতুর্থ জয়টি পেয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলীপ ভেঙ্গসরকার তো উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, ম্যাচ ফিনিশের ক্লাসটাও এ বার নিতে পারে ধোনি । ঝাড়খণ্ডের এক অখ্যাত শহর থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়কের আসনে তাঁর চোখধাঁধানো সাফল্য তো নতুন কিছু নয়। দিনের পর দিন তাঁর চাপ নেওয়ার ক্ষমতা ও তার থেকে উতরানোর দক্ষতাও যেন নতুন কিছু নয়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, সবাই ভাবেন, আমি চাপ অনুভব করি না।কিন্তু বাস্তবে অন্যদের মতোই আমিও চাপ অনুভব করি। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরোতে হয়, তা আমি জানি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি সব সময়ই সফল হব।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এতক্ষণ ধরে কথা বলেননি ধোনি। মাহি বলেছেন, ২০০৬-এর পাকিস্তান সফরের পর আমার ব্যাটিংয়ের অনেক উন্নতি করেছি।তারপর থেকে আমি ধারাবাহিকভাবেই লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করেছি।আমার স্লট আসে ৩০ ওভারের পর। ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী আমাকে ব্যাটিংয়ের চরিত্র বদল করতে হয়।যখন আমরা প্রথমে ব্যাট করি তখন বড় শট নিতে হয়।আবার যখন রান তাড়া করি তখন হয় মারতে হয়, নাহলে ধরে খেলতে হয়।কোনও কিছু স্থির করে আমি মাঠে নামি না। দলের চাহিদা ও ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি ব্যাটিং করি। এতে আমিই উপকৃত হয়েছি।আর দল ম্যাচ জিতলে তা তো খুবই তৃপ্তিদায়ক।
গতকাল ক্যারাবিয়ানদের বিরুদ্ধে দলের টপ অর্ডার ভেঙে পড়ার পর দৃঢ়তা দেখিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ধোনি বলেছেন, মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের একটা সুযোগ পেল। এটা একটা ভালো ব্যাপার। কারণ, প্রত্যেকেই রান করতে চায়। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও চাপের মুখে একটা সুযোগ পেয়েছিল মিডল অর্ডার।
তিনি আর বলেছেন, আমি সাধারনত যখন ব্যাট করতে নামি তখন একটা চাপ থাকে। প্রথমে ব্যাট করলে শেষ ৫-৭ ওভারে দ্রুত রান তোলার চাপ, অথবা রান তাড়া করার চাপ।এটাই বাস্তব। আর আমাকে লোয়ার অর্ডারের সঙ্গেই পার্টনারশিপ করতে হয়।
ধোনি আরও বলেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অশ্বিনের সঙ্গে তাঁর যুগলবন্দীর ফলটা দারুনই হয়েছে।’ এবিপি আনন্দ
Discussion about this post