বিডি ল নিউজঃ যেকোনো বয়সের মেয়েদেরকেই এখন একা একা ছাড়তেই যেন এমন ভয় পেয়ে বসে যে, এই না বুঝি ধর্ষণের শিকার হলো বা ধর্ষণ কররে মেরে ফেলে চলে গেলো। দেশে এখন নারীর স্বাধীনতা, নারীর নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও, নারী শিশুদের যেন কোন নিরাপত্তাই নেই। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ এক স্কুল ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার মামলা হওয়ার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত মুক্তা আক্তার (১৩) কাউখালী উপজেলার দাশেরকাঠি গ্রামের হিরু মহাজনের মেয়ে এবং দাশেরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার রাতে দাশেরকাঠী খাল থেকে পুলিশ মুক্তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মা শাহীনুর বেগম বলেন, তার দুই মেয়ে সোমবার দুপুরের পর ঝড়-বৃষ্টি শেষে প্রতিবেশী বাড়ির বাগানে আম কুড়াতে যায়। বড় মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গেলে আগে বাড়ি ফিরে আসে; কিন্তু মুক্তা আমবাগানে ঝড়ে পড়া আম কুড়াতে ব্যস্ত থাকে। “অনেক সময় পরও মুক্তা বাসায় না ফিরলে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে থানায় অভিযোগ করি। রাতে পুলিশ দাশেরকাঠী খাল থেকে মুক্তার লাশ উদ্ধার করে।” কাউখালী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। “মেয়েটির মা বাদী হয়ে একই গ্রামের ফোরকান মহাজনের দুই ছেলে পারভেজ মহাজন ও সোহেল মহাজনকে আসামি করে কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। “ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আসামিরা মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।”পারভেজ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তবে অপর আসামি সোহেল মহাজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি।
অভিভাবকদের তাদের কন্যা শিশুটির প্রতি আরো যত্নবান হওয়া উচিত। নিয়মিত তার পাশে থাকা উচিত। একা একা কোথাও পাঠানো উচিত নয়।
Discussion about this post