যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পাড়ালা ঋষিপল্লীতে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার দুই আসামিকে ধরতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
ফলে, অতিদ্রুত তাদের ধরে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পাড়ালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে জীবনী খাতুন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও মাহাবুবুর রহমানের ছেলে আকবর আলীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুরের পাড়দিয়া ঋষিপল্লীর এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ২০ থেকে ২৫ জন দুর্বৃত্ত লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে সেখানে হামলা চালান।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদের নেতৃতে পার্শ্ববর্তী বাহিরঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন ও আবু সাঈদসহ ২০ থেকে ২৫ জন দুর্বৃত্ত এ হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে, হামলার খবরে রোববার(৩১ জানুয়ারি) স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, ইউএনও কামরুল হাসানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ঋষিপল্লী পরিদর্শন করেছেন।
এসময় পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ঋষিপল্লীর বাসিন্দাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ওই এলাকার ১২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নির্ভিগ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে পদক্ষেপ গ্রহণেরও নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাহেরুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়াও অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
Discussion about this post