যশোর প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার আলোচিত মাদক মামলার আসামির স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড দেয়। আটককৃত আসামিরা হলেন- পুলিশের সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষ্মণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ, আব্দুল কাদের।
আজ রবিবার চীফ জুডিসিয়াল বিচারক তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, যশোরের শার্শা উপজেলার আলোচিত মাদক মামলার আসামির স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলারতদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পরই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন পিবিআইর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহারের পর শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমানকে প্রত্যাহার করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য বলছে, এটি পুলিশের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
জানা গেছে, শার্শার গোড়পাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুলকে তার দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠে। এ সংবাদে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কিন্তু মামলার এজাহারে খায়রুলের নাম না থাকায় তা ব্যাপক সমলোচনার জন্ম দেয়।
যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক শনিবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়নি। দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকায় প্রশাসনিক কারণে পুলিশের হেড কোয়ার্টার থেকে বদলি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর এলাকায় এক আসামির স্ত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও তার সোর্স কামরুল তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সকালে ওই গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওইদিন রাতেই শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ। মামলায় এসআই খায়রুলের নাম রাখা হয়নি। আসামি করা হয় কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষ্মণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ, আব্দুল কাদের ও অজ্ঞাত একজনকে। পরে পুলিশ ঐ রাতে তাদেরকে আটক জেল হাজতে প্রেরণ করে।
Discussion about this post