বগুড়ার শেরপুর হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলবে বলে ঘোষণা এসেছে। এদিকে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সানি (২০) ও তার বাবা সাজু মিয়াকে (৪৮) আসামি করা হয়েছে। তারা পৌরশহরের প্রফেসরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে পলাতক থাকায় তাদের এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে তৃতীয় দিনের মতো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা কর্মবিরতি পালন করা হয়। ফলে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়ে।
অপরদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রয়োজনে জরুরি বিভাগসহ আন্তঃবিভাগের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। সঙ্গে একজন সহকারী ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। এছাড়া হাসপাতালের প্রত্যেকের দফতর তালাবদ্ধ। প্রধান কর্মকর্তার কক্ষের দরজায় ঝুলছে দুইটি তালা। মাঝে মধ্যে রোগী আসছেন আর চিকিৎসকের কক্ষগুলো তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছেন।
Discussion about this post