আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এ আবেদনের রায় গত ১৪ জুলাই হওয়ার কথা থাকলেও সরকারপক্ষের আবেদনে ত্রুটি থাকায় তা হয়নি। পরে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
২০০৪ সালের ৭ই মে প্রকাশ্যে গাজীপুরের সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান বাদি হয়ে টঙ্গী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরই এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
বিচারিক আদালতে হত্যার দায়ে ২২ অভিযুক্তকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়। আসামিদের আপিল আবেদনের শুনানি শেষে ৬ জনের দণ্ড বহাল রেখে বাকীদের খালাস দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
১১ বছর ধরে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে এ মামলারি বিচারিক কার্যক্রম চলে আসছে। ২০০৫ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার ২২ জন আসামিকে ফাঁসি এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। এরপর ২০০৬ সালে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এসময় আসামিরা জেল আপিল ও মামলা আপিল করে। টানা ১০ বছর ধীরলয়ে মামলাটি চলার পর গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দু’জন মারা গেছেন, ১৭ জন কারাগারে আছেন, বাকি ৯ জন পলাতক।
মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ আহসানুল্লাহ মাস্টার বেশি পরিচিত ছিলেন শ্রমিক নেতা হিসেবেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ, প্রতিটি নির্বাচনেই জয়ী হয়েছেন বিপুল ভোটে। দু’দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন গাজীপুর-২ আসন থেকে।
Discussion about this post