রাজস্ব সংগ্রহের গতি ত্বরান্বিত করতে আয়কর সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সোমবার রাজধানীর বিসিএস কর একাডেমিতে আয়োজিত উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন আয়কর, শুল্ক ও মূসক বিষয়ক মামলার ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন তিনি।
মাহবুবে আলম বলেন, বিচারাধীন আয়কর মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে সব সময় সহযোগিতা করে আসছে অ্যার্টনি জেনারেলের অফিস এবং ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এজন্য রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সব পক্ষকে ইতিবাচক মনোভাব ও সমাধানমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, রাজস্ব বোর্ডের আইনজীবীদের সঙ্গে মত বিনিময় করে সমগোত্রীয় মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এতে করে রাজস্ব সংগ্রহের গতি ত্বরান্বিত হবে পাশাপাশি মামলার সংখ্যাও কমে যাবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে মামলা দায়েরর ক্ষেত্রে যেসব দুর্বলতা আছে তা দূর হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, রাজস্ব উন্নয়নের অক্সিজেন। তাই উন্নয়ন করতে হলে রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। আর এসব মামলা নিষ্পত্তিতে অ্যার্টনি জেনারেলের অফিসের কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মত বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে সরকারের পক্ষে রায় আসার সম্ভাবনা বাড়ে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চলতি মাসেই আয়কর আনজীবীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা হবে। আর আমি আশা করছি এসব উদ্যোগের ফলে রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। একই সঙ্গে কমবে মামল জট। বৃদ্ধি পাবে সরকারের রাজস্ব আদায়।
সভায় এনবিআর জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার আয়কর, শুল্ক ও মূসক বিষয়ক মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলায় সরকারের ৩১ হাজার কোটি টাকার অর্থিক সং সম্বলিত জড়িত রয়েছে।
মত মিনিবময় সভায় এনবিআরের পক্ষ থেকে ১৪টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সুপ্রীমকোর্টের ডেডিকেটেড বেঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এক কোটি টাকার উপরে মামলাগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা। একই সঙ্গে কজলিস্টে অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং অ্যার্টনি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা।
সভায় এনবিআরের সদস্যরাসহ অ্যার্টনি জেনারেলের অফিসের কর্মকর্তারা, হাইকোর্টের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা ও ঢাকাস্থ সব কর অঞ্চলের কর কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post