সোমবার রাতে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের পুস্পগুচ্ছ সেন্টারে গ্রীন অ্যাপল কমিউনিকেশনস আয়োজিত ‘প্যাশন ফর ফ্যাশন’ শিরোনামের অনুষ্ঠান শেষে এই হামলায় আহত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিনোদন বিষয়ক প্রতিবেদক জয়ন্ত সাহা, প্রদায়ক ফটোসাংবাদিক তানজিল আহমেদ জনি, প্রথম আলোর বিনোদন প্রতিবেদক রুবেল,বাংলামেইল আসিফ রহমান খান, বাংলা ট্রিবিউনের বিনোদন প্রতিবেদক অরূপ রতন চৌধুরী, ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, দ্য ডেইলি লাইফ অনলাইনের রেজাউল করিম, দৈনিক ভোরের পাতার সাব এডিটর মোস্তফা মাসিদ রণ।
হামলায় হাতে ও পায়ে মারাত্মক জখম হন জয়ন্ত। একইভাবে আহত হয়েছেন অন্য সাংবাদিকরা। জনির পিঠে জখম হয়েছে। হামলার একপর্যায়ে আয়োজক ও সহআয়োজকদের নির্দেশে ফটো সাংবাদিক জনি, জয়ন্ত, সাজ্জাদ ও রেজাউলের ক্যামেরাও নিরাপত্তা রক্ষীরা নিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ফ্যাশন শো শেষে পারিনিতি চোপড়ার সাক্ষাৎকার নিতে চাইছিল সাংবাদিকরা। আয়োজকরা কখনো পুস্পগুচ্ছ সেন্টারের বাইরে, কখনো র্যাম্প স্টেজে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বলছিল। কিন্তু সবশেষে জানানো হয়, পারিনিতি গ্রিনরুমে ইন্টারভিউ দেবেন।
জয়ন্ত জানান, গ্রিনরুমের বাইরে অপেক্ষারত প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমের সাংবাদিকদের জানানো হয় পারিনিতির ইন্টারভিউ তারা নিতে পারবেন না। এই সময় অ্যারিস্টোক্রেট শোবিজ নামে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিব হাসানের সঙ্গে সাংবাদিকদের বচসা বাঁধে। তখনই আয়োজকদের কেউ একজন বলে বসে, “সাংবাদিকদের লাঠিপেঠা করে বের করে দাও। বের না হলে এখানেই পুতে ফেল।”
সাংবাদিকের উপর হামলার নির্দেশদাতা এস মবিন চৌধুরী।
তিনি আরও জানান, রাকিবের নির্দেশেই তেড়ে আসে বসুন্ধরার নিরাপত্তা কর্মীরা। প্রথমে তারা সাংবাদিকদের কলার ধরে চড় -থাপ্পড় দিতে শুরু করে। পরে আয়োজকরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের ধাওয়া দেন। এতে জয়ন্ত, জনি, আসিফ, রণসহ বাকিরা মাটিতে পড়ে গেলে তাদের উপুর্যপরি লাঠিপেটা করতে থাকে।
আহত সাংবাদিকরা গ্রিন অ্যাপলের কর্ণধার সানজিদা লুনার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “ঘটনা খুব দুঃখজনক। এ ধরনের হামলায় আমি লজ্জিত।”
হামলার সময় উপস্থিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা এম এইচ জয়ও নিশ্চুপ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকরা।
হামলার সময় গ্রিনরুমের ভেতরে থাকা পারিণিতি ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক শিমুল সালাউদ্দিনও জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলার সময় হৈচৈ পারিনিতির কানে গিয়েছে। তিনিও থমকে গিয়েছিলেন।
বাংলা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন হামলার ছবি তুলতে গেলে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, “আয়োজকরা আগে বললেই পারত, ইভেন্টে কোনো প্রিন্ট আর অনলাইন মাধ্যমকে অনুমতি দেওয়া হবে না।”
Discussion about this post