ফ্রান্সে দর্শক হাঙ্গামার মধ্য দিয়েই চলছে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউরো)। ইংল্যান্ড-রাশিয়ার ম্যাচে দুই দলের সমর্থকদের দাঙ্গার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতরাতে ক্রোয়েশিয়া আর চেক রিপাবলিকের মধ্যকার ম্যাচে দর্শক হাঙ্গামায় খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে। ম্যাচ শেষ দিকে ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকরা মাঠে আগুনের গোলা ছুঁড়ে মারে।
এ ঘটনার আগ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ইনজুরি টাইমে ডি-বক্সে হ্যান্ডবলের পেনাল্টিতে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়ে ক্রোয়েশিয়ানদের।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও ড্রয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ক্রোয়েশিয়ানরা দেখে তাদের সমর্থকদের কাণ্ডকারখানা। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে মাঠে দর্শকরা কয়েকটি আগুনের ফ্লেয়ার ছুঁড়লে ম্যাচের দায়িত্বে থাকা রেফারি মার্ক ক্লাটেনবার্গ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রাখেন। এ সময়ে ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রাও তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
এদিকে, ক্রোয়েশিয়ার কোচ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবী করে জানান, জড়িতরা ক্রোয়েশিয়ার কোনো সমর্থক হতে পারেন না। তারা স্পোর্টস টেরোরিস্ট (সন্ত্রাসবাদী)। এরা আমাদের সমর্থক হতে পারেনা। আমি নিজ চোখে দেখেছি, যারা মাঠে আগুনের গোলা ছুঁড়ছিল তাদের ৯৫ শতাংশ দর্শক অন্যদের দেখেই এমনটা করেছে।
এর আগে চলতি আসরে ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। স্টেডিয়াম থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। নিরাপত্তা বাধা ডিঙিয়ে ইংলিশ সমর্থকদের মারধর করেন রাশিয়ান দর্শকরা। গত শনিবারের (১১ জুন) সেই সহিংসতায় অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এরপরও থামেনি দর্শক হাঙ্গামা। সবশেষ লিল শহরের রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন শতাধিক ইংলিশ ও রাশিয়ান উগ্র সমর্থক। এতে অন্তত পঞ্চাশজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩৬ জনকে আটক করার পাশাপাশি ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Discussion about this post