ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের ৩৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। নথি পর্যালোচনা করে আদেশ পরে দেবেন আদালত।
রাষ্ট্রদ্রোহ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় কারাগারে থাকা আবদুস সালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ঢাকার সিএমএম আদালতে সালামকে দশদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলম। শুনানি শেষে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. খুরশীদ আলমের আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের পিপি কবির হোসাইন। রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন আবদুস সালামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী।
গত ০২ মার্চ তেজগাঁও থানায় দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং ৪)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালে আবদুস সালাম প্রতিষ্ঠানের বিজনেস প্রমোশন, লিগ্যাল, বিনোদনসহ বিভিন্ন খাতের ভুয়া বিল দেখিয়ে আবদুস সালাম ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি তথ্য গোপন করে বিদেশি কোম্পানি ‘সিটিকপ’র নামে থাকা ইটিভি’র শেয়ার স্থানান্তরের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।
অন্যদিকে ইটিভির শেয়ার লোকাল শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিজস্ব লোকজনের নামে হস্তগত করারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
পর্নোগ্রাফির মামলায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি আবদুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর এক নারী বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই মামলা করেন। পরে গত বছরের ৮ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আবদুস সালামসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
Discussion about this post