নিজস্ব প্রতিবেদক: ইডেন সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় তার বাসার দুই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। অভিযোগ গ্রহণ করা দুই গৃহকর্মী হলেন- রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্না। অপরদিকে মামলায় সন্দেহভাজন আসামি রুনা আক্তারি (৪৭) ওরফে রাকিবের মাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ অভিযোগ গ্রহণ করেন।
২১ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুই গৃহপরিচারিকাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার। তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, মামলার আসামি রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্নার ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ময়নাতদন্ত ও জব্দকৃত আলামতের ভিত্তিতে ভিকটিম মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
রুমা ওরফে রেশমা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে (৬৬) নাক মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ২০ ভরি স্বর্ণ, একটি স্যামসাং মোবাইল এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করেন। প্রমাণ হিসাবে তার কাছ থেকে ওয়ালটন মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামি রিমা আক্তার মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে কাজের বুয়া হিসাবে যোগদান করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে নাক মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল চুরি করেছেন। প্রমাণ হিসাবে তার হেফাজত থেকে নগদ সাত হাজার টাকা, একটি গোলাপী রংয়ের ভ্যানিটি ব্যাগ, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্যামসাং জে-৭ মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করেন, মামলার সন্দিগ্ধ আসামি রুনা আক্তারির বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা অপর গ্রেফতারকৃত আসামি রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্নার বিরুদ্ধে পেনাল কোড আইনের ৪১৯/৩৮১/৩০২/৩৪/৪১১ ধারার আদালতে প্রকাশ্যে বিচারের নিমিত্তে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১০ ফেব্রুয়ারি বিকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সুকন্যা টাওয়ারে নিজ বাসা থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
Discussion about this post