৫০ লাখ টাকার মানহানির এক মামলায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার রাজবাড়ীর এক নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফরহাদ মামুন এ আদেশ দেন। রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু বাদী হয়ে গত ২৩ মার্চ মামলাটি করেছেন। তিনি মজনুর বাড়ি কালুখালী উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) খন্দকার হাবিবুর রহমান আদেশের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ মার্চ ইত্তেফাক পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘অনেক মন্ত্রী-এমপির স্বজনেরা বেপরোয়া/ চলছে দখল, টেন্ডারবাজি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, সরকারের উন্নয়ন ম্লান হচ্ছে, মনোনয়ন ঝুঁকিতে ৭০ এমপি’ শীর্ষক খবর প্রকাশিত হয়।
পত্রিকার প্রতিবেদনে মজনুকে রাজবাড়ী-২ আসনের সাংসদের স্ত্রীর খুব কাছের মানুষ উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ করা হয়, মজনু এমপি সেজে পাংশা থানার ওসিকে ফোন করে এক আসামিকে ছেড়ে দিতে বলেন। এছাড়া পুলিশের পোশাক পরে চাঁদাবাজি করেন।
প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিন মিজানুর রহমান মজনু বাদী হয়ে পত্রিকাটির স্টাফ রিপোর্টার মেহেদী হাসানকে ১ নম্বর ও সম্পাদক তাসমিমা হোসেনকে ২ নম্বর আসামি করে মানহানির মামলা করেন।
পরে আদালত সহকারী পুলিশ সুপারকে (পাংশা সার্কেল) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। এরপর আদালত আসামিদের আজ ৫ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় এক নম্বর আসামি মেহেদী হাসান আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু অপর আসামি পত্রিকাটির সম্পাদক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
Discussion about this post