এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়। নিহতদের অধিকাংশই সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীয়। এদের মধ্যে ১ শিশু হয়েছে।
দেশটির বিমান বাহিনীর প্রধান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, না, এখন আর কেউ জীবিত নেই। এই মাত্র আমি ঘটনাস্থল থেকে এসেছি।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) দেশটির উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী মেডানে ‘সি-১৩০ হারকিউলিস’ সামরিক পরিবহন প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
দেশটির স্থানীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই প্লেনটি বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন একটি আবাসিক এলাকার বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় প্লেনটিতে।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক মুখপাত্র ফুয়াদ বাসিয়া জানান, সেনা সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তানজুং পিনাংয়ের রিয়াং দ্বীপে যাওয়ার পথে পোলোনিয়া বিমানবন্দর সংলগ্ন ব্যস্ত এলাকায় বিধ্বস্ত হয় প্লেনটি।
প্রাথমিকভাবে প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা না গেলেও বিমান বাহিনীর চিফ অব স্টাফ আগুস সুপ্রিয়াতনা বলেন, উড্ডয়নের পরপরই টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ঘাঁটিতে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন বিধ্বস্ত প্লেনের পাইলট।
২০০৫ সালে এই মেদান শহরেই যাত্রীবাহী আরেকটি প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৪৩ জন। জাকার্তা এবং সুরাবায়ার পর মেদান ইন্দোনেশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম নগরী। এর জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ।
Discussion about this post