তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় দফায় দফায় আলোচনা শেষে গত ১৪ জুলাই চুক্তিতে পৌঁছায় ইরান এবং জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি (ছয় বিশ্বশক্তি)। সোমবার সেই ছয়টি রাষ্ট্রসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য চুক্তির পক্ষে উত্থাপিত প্রস্তাব পাসে সম্মতি দেয়।
জাতিসংঘ অনুমোদিত এ চুক্তি বাস্তবায়নে শর্তানুযায়ী ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে হবে। আর তা করলে তার ওপর থেকে উঠে যাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞা।
জাতিসংঘে পাস হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চুক্তি মতো ইরান তাদের শর্ত পূরণ করে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করেছে বলে যদি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাসহ (আইএইএ) বিশ্বসম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত করেন, তবেই তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। আবার এ চুক্তি ১০ বছরের মধ্যে লঙ্ঘিত হলে আবারও ইরানকে নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়তে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত অভিযোগের মুখে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২০০৬ সালে একটি প্রস্তাব পাস হয় (১৬৯৬ নম্বর রেজুলিউশন)। সেই প্রস্তাব অনুসারে ইরানের ওপর সেসময় সার্বিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২০১২ সালে এসে দেশটি থেকে তেল ক্রয়ের ওপরও দেওয়া হয় আরেক নিষেধাজ্ঞা। তারপর থেকেই বিশ্ব থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে ইরানকে।
Discussion about this post