উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের (ম্যানিজিং কমিটি) গভর্নিং কমিটির নির্বাচনের ভোটার তালিকায় ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, উইলস লিটল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাধারণ ও বিদেশি কারিকুলামের ইংরেজি মাধ্যমে একসঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের সুযোগ নেই- ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের দেয়া এমন চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন ও তিন অভিভাবকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট করেন।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিক্ষা সচিব, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বোর্ডের পরিদর্শক, ঢাকা জেলার প্রশাসক ও জেলার (এডিসি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) রিটের বিবাদী করা হয়েছে।
এই রিট আবেদনের ওপর আগামীকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী।
তিনি জানান, এর আগে গত ২৪ আগস্ট ইংরেজি মাধ্যমের অভিভাবকদের গভর্নিং বডিতে অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। ওই চিঠিতে বেসরকারি বিদ্যালয় বিধিমালা ২০১৭ এর ৭ ধারা অনুসারে এই নাম অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনা তুলে ধরা হয়।
এই স্কুলের ক্ষেত্রে ওই বিধিমালা প্রযোজ্য হবে না। কেননা স্কুলটি একটি মাত্র কমিটি দ্বারা পরিচালিত। তাই উইলস লিটল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনের ভোটার তালিকায় ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নাম অন্তর্ভুক্তি করার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, একই প্রতিষ্ঠানে দুই পর্ষদ থাকলে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আগে যেভাবে পরিচালিত হতো এখনও সেভাবে পরিচালনা করতে চায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ। তাই তিনিসহ দুই কারিকুলামের তিন অভিভাবক এ রিট দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, আবেদনে বোর্ডের দেয়া ওই চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় চিঠির কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
জাগো নিউজ
Discussion about this post