ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়রাম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলাটি ছয়মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এই আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ছয়মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালকে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল চার বিচারপতির বেঞ্চ এই হত্যা মামলার এক আসামির জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন-বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
একরাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেলকে গত বছরের ১৬ নভেম্বর জামিন দেয় হাইকোর্ট। জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন আদেশ স্থগিত করে দেয়। একই সঙ্গে আবেদনটি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আজ আবেদনের উপর অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার দিলিরুজ্জামান এবং আসামি পক্ষে আবদুল বাসেত মজুমদার শুনানি করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, দুই আসামির স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দিকে আদিলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এবং তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে এই হত্যাকান্ড সংঘটনের পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। এইজন্য আমরা হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছি।
আইনজীবী বাসেত মজুমদার বলেন, দুইজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মধ্যে কোনো মিল নেই। জাবানবন্দিতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য রয়েছে।
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহালের পক্ষে মত দিয়ে আদালত বলেন, যেভাবে উপজেলার চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে তা সত্যিই ভয়াবহ। আদালত অবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
একই সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি না হলে বিচার শেষ না হলে আসামি জাহাঙ্গীর আলম আদিলের জামিন বিবেচনা করার জন্য বিচারিক আদালতকে বলা হয়েছে।
Discussion about this post