হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ হাটহাজারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ভাংচুর করেছে। এ সময় উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ) শ্রেণিতে ভর্তি হতে আসা শত শত শিক্ষার্থীকে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এছাড়া ভর্তির জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অপদস্থ করে তাদের হাতে থাকা মূলবান কাপজ-পত্র ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল পিপিএম (বার) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তাছাড়া ভর্তি কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা কলেজ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাদেরকে (শিক্ষকদের) কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ভর্তি হতে আসার শত শত শিক্ষার্থীকে বেশ দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এছাড়া ওই সময় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ভয়ে দিকবিদিক ছুটাছুটি করে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
উক্ত ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ কর্মীদের দায়ী করেন ভর্তি হতে আসা উম্মে হাবিবা আঁকি সাংবাদিকদের জানন, তারা (ছাত্রলীগ কর্মী) আমার বড় ভাই বাবুকে অহেতুক টেনে-হিচঁড়ে তাকে মারধর করার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে কলেজ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে মারধর করতে পারেনি। তবে তাকে (বড় ভাই) মারধর করতে না পেরে আমার হাতে থাকা ভর্তির জন্য আনা এসএসসি পরীক্ষার রেজিঃ কার্ড ও যাবতীয় কাগজ-পত্র ছিঁেড়ে ফেলে আমাকে অপদস্থ করেছে।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার (২৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ঘোষিত নিয়ম-নীতিকে অনুসরণ করে ১ম মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ) শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করি। এরমধ্যে ওই দিন দুপুরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা স্থানীয়দের প্রাধান্য দেওয়া সহ বিভিন্ন অনৈতিক দাবী করেন। কিছু তাদের (ছাত্রলীগ নেতাকর্মী) ওই সব অনৈতিক দাবী পূরণে আমি অক্ষম বলে জানালে ছাত্রলীগ কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে এমন তান্ডব চালিয়ে বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
এদিকে উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতির ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল পিপিএম (বার) এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিকেদককে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে পূর্ণ:রায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ## ৩০.০৬.২০১৫
Discussion about this post