বরিশাল নগরীর হোটেল থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রতারক প্রেমিক মো. সায়েম আলম মিমুকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। একাধিক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি।
আটক মো. সায়েম আলম মিমু ঢাকার ওয়ারী থানাধীন ৬০/১ যোগী নগররোড এলাকার বাসিন্দা সেলিম আলমের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এ তথ্য জানান।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এস.এম রুহুল আমিন জানান, আটকের পর সায়েম ওরফে মিমু পুলিশের কাছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। যা সম্পর্কে যুব সমাজের বিশেষ করে মেয়েদের ও অভিভাবকদের সচেতন থাকা উচিত।
তিনি বলেন, সায়েম জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, ফেসবুকে সম্পর্কের জের ধরেই নাইমা ইব্রাহিম ঈশীর সঙ্গে প্রেম হয়। এরাআগেও একইভাবে জান্নাত, রিয়া, রিমা, সূবর্না, তমা, সূরাইয়া, সুমাইয়াসহ ১২/১৩ মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে তাদরে ধর্ষণ করে কৌশলে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার, নগদটাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে।
জিজ্ঞাসাবাদকালে এরকম কয়েক ভিকটিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তবে, তারা সায়েমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করলেও সামাজিক ও পারিবারিক সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকাশ্যে কোনো অভিযোগ দাখিল করতে রাজি হয়নি।
পুলিশ কমিশনার সায়েমের বরাত দিয়ে বলেন, ফেসবুকে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাধ্যমে পূর্বের ধারাবাহিকতায় ভিকটিম নাইমা আক্তার ঈশীকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও তার সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বরিশালে হোটেল ফেয়ার স্টারের ৩০৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেয়।
পরে ঈশীকে ধর্ষণ করে তার গলায় থাকা ১ টি স্বর্ণের চেইন ও ১ টি মোবাইল সেট নিয়ে হোটেল ম্যানেজারের সহায়তায় রুমের বাইরে থেকে তালবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। এর আগে সায়েম ৮ আগস্ট বরিশালে এসে ভিকটিমকে নিয়ে দূর্গাসাগর এলাকায় ঘুরতে যান।
গত ১০ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে হোটেল ফেয়ার স্টার হোটেলের ৩০৯ নম্বর কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ঈশীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ
সোমবার (২৯ আগস্ট) ঈশীর মো. ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
Discussion about this post