রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নভগোরোদ এলাকায় ৮ জুলাই কোনো বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন নেওয়া হয়নি। রাশিয়ায় দিনটি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হিসেবে পালিত হওয়ায় ওই দিন সেখানে বিবাহবিচ্ছেদ নিষিদ্ধ।
তাস নিউজ এজেন্সিকে নভগোরোদ এলাকার কর্মকর্তারা বলছেন, ৮ জুলাই তাঁরা সেসব মানুষের সঙ্গেই কাজ করেছেন, যাঁরা বিয়ে করতে চেয়েছেন, ভাঙতে নয়। দিনটি রাশিয়ায় পরিবার, ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা উদ্যাপনে ‘পিটার ও ফেভরোনিয়া দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। দেশটিতে ঐতিহ্যগতভাবে এ দিনকে বিয়ে করার জন্য শুভ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেন্ট পিটার ও ফেভরোনিয়া হলেন রাশিয়ায় বিয়ে প্রথাটির সনাতন (অর্থোডক্স) পৃষ্ঠপোষক। ২০০৮ সাল থেকে ৮ জুলাই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
নভগোরোদে এ বছর বেশ জাঁকজমকের সঙ্গেই ৮ জুলাই পালন করা হয়েছে। এ উৎসবে এলাকাজুড়ে তিন শরও বেশি অনুষ্ঠান হয়েছে। তাস জানিয়েছে, পরিবারকে উৎসর্গ করে সেখানে ধর্মীয় রীতি মেনে বাগদান, নাচ, ফ্ল্যাশমব ও মোটরসাইকেলের নানা খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ ছাড়া দাম্পত্য জীবনে সফল জুটিদের জন্য ছিল পুরস্কারের ব্যবস্থাও। যেসব দম্পতি ২৫ বছর ধরে একসঙ্গে আছেন, তাঁদের ‘ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার’ জন্য পদক দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা চার থেকে সাতজন শিশু লালন-পালন করেছেন, তাঁদের ‘পিতা-মাতার দায়িত্বের প্রতি বিশ্বস্ত’ থাকার জন্য পদক দেওয়া হয়েছে।
নভগোরোদের নিবন্ধন কার্যালয়ের আইরিনা সামুসোভা বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ৮ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া বিয়ের মাত্র ১২ শতাংশের ডিভোর্স হয়েছে।
তবে শুধু নভগোরোদই নয়, রাশিয়ার অন্য অঞ্চলও দিনটি পালনে অংশ নিয়েছে। সেসব এলাকাতেও এদিন কোনো বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। অনেক জায়গায় আবার ডিভোর্স নিতে আসা দম্পতিদের উৎসবের পর আবেদন করতে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চ অবশ্য এমন কাজের বিরোধিতাই করেছে। চার্চের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘চাপ দিয়ে বা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মানুষের বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা ভালো উপায় নয়।’
বিবিসি
Discussion about this post