মীর কাসেমে আলীর সামনে এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ বাকি রইল বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর একথা বলে অ্যাটর্নি জেনারেল।
আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন রায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হবে এবং যে কোনও দিন তা কার্যকর করা হবে। প্রসিকিউশন ঠিকমতো মামলা পরিচালনা করলে ১২ নম্বর অভিযোগেও সাজা নিশ্চিত করা যেত।’
প্রসঙ্গত, ট্রাইব্যুনাল মীর কাসমেরে বিরুদ্ধে আনা ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিলেও আপিলে ১১ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর গত ৮ মার্চ আপিলের ওই সাজাই বহাল থাকে। ৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনার জন্য ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম।
Discussion about this post